কেষ্টর-র জেলায় পলকা হচ্ছে তৃণমূলের ভিত! ‘কৌশল’-এ সভা ভরানোর অভিযোগ বিজেপির
অনুব্রত-র সভা ভরানো নিয়েই উঠল এবার সাংঘাতিক অভিযোগ। অভিযোগ, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে সম্মেলন ক্ষেত্র ভরিয়েছিলেন তিনি।
রাজ্যে ক্ষমতার অলিন্দে পা রাখতে বিজেপি প্রথম টার্গেট করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের অনুব্রত মণ্ডলের জেলা বীরভূমকে। সেই নিরিখেই একটার পর একটা সভা করে মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা কামান দাগছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রিয়পাত্র অনুব্রত মণ্ডলকে লক্ষ্য করে। অনুব্রত মণ্ডল নিজের কর্তৃত্ব বজায় রাখার জন্য জেলা চষে ফেলছেন। যেখানেই বিজেপি সভা করছে, সেখানেই পাল্টা সভা করে লোক ভরিয়ে দিচ্ছেন তিনি।
[আরও পড়ুন:মুকুলের 'অভাব' অনুভূত হচ্ছে তৃণমূলে! বিজেপিতে 'চাণক্য' হওয়ার পথে হঠাৎ গুরুত্বের আসনে ]
কিন্তু তাঁর সেই সভা ভরানো নিয়েই উঠল এবার সাংঘাতিক অভিযোগ। অভিযোগ, ঋণ পাইয়ে দেওয়ার কৌশল অবলম্বন করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের দিয়ে সম্মেলন ক্ষেত্র ভরিয়েছিলেন তিনি। সভায় আসা মহিলা সমর্থকরারই ফাঁস করে দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই পরিকল্পনা। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, কেন এমন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে তৃণমূলকে? তাহলে কি পায়ের তলার মাটি আলগা হতে শুরু করেছে কেষ্ট-র জেলায়!
রবিবার বীরভূমের মযূরেশ্বরে মহিলা কর্মীদের সম্মেলন ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের। সেই সম্মেলনে শক্তি প্রদর্শন করতে গিয়ে টোপ দিয়ে সম্মেলনে ভিড় জমানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সবাইকে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ড সঙ্গে করে আনতে বলা হয়েছিল। তার ভিত্তিতে ঋণ পাইয়ে দেওয়ার শর্তও আরোপ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।
[আরও পড়ুন:বাইচুং-এ তৃণমূল ত্যাগে উচ্ছ্বাস বিজেপি শিবিরে! নতুন সমীকরণের ইঙ্গিত]
যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এমন কোনও টোপ প্রদর্শন করা হয়নি বলে সাফ জানায় তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসে এখনও এমন দুর্দিন আসেনি যে টোপ দিয়ে লোক আনতে হবে। এখনও একটা নামেই মানুষ ভিড় জমান। ফলে মানুষকে সভামুখী করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটাই যথেষ্ট।
বিজেপি অবশ্য এই ইস্যুকেই সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছে। জেলায় ভালো রেজাল্ট করাই তাঁদের মুখ্য উদ্দেশ্য। এই জেলা থেকেই পরিবর্তনের সূচনা করাই মুকুল-লকেটদের উদ্দেশ্য। তার আগে বিজেপির হাতে এটা একটা বড় অস্ত্র তুলে দিচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। বিজেপির দাবি, তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই এখন আর সভাস্থল ভরাতে নানা কৌশল অবলম্বন করতে হচ্ছে।
[আরও পড়ুন:মুকুলকে 'পঞ্চায়েত' দায়িত্বের পরেই 'এলোমেলো' তৃণমূল! মুকুলকে 'শেয়াল' বললেন পার্থ]