মাঠ নেই, ধানক্ষেতে বিজেপির রথযাত্রার সভা! রাজ্যে গণতন্ত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন দিলীপরা
আর মাত্র পাঁচদিন। তারপরই কোচবিহার থেকে বিজেপির প্রথম রথ বেরোবে বঙ্গ-প্রদক্ষিণে। কিন্তু তার আগে নাটক অব্যাহত রয়েছে। বিজেপি রথযাত্রা শুরু নিয়ে চলছে নাটক। এখন সভাস্থল নিয়েই বিতর্ক দানা বেঁধেছে। জেলার কোনও ময়দানই মেলেনি বিজেপির রথযাত্রার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও সভা করার জন্য।

মাঠ নয়, ধানজমিতে সভা
এই অবস্থায় বিজেপি ধান জমিতে রথযাত্রার প্রথম সভার আয়োজন করতে চলেছে। বিজেপির অভিযোগ, জেলায় কোনও মাঠ পাওয়া যায়নি। মাঠে সভা করার কোনও অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। অগত্যা তাই ধান জমিতেই আমরা সভা করার পরিকল্পনা নিয়েছি।

হরিৎ ক্ষেতে গেরুয়া মঞ্চ
ধান জমিতেই চলছে বিজেপি রথযাত্রার মঞ্চ গড়ে তোলার কাজ। ধান তোলার পর, সেই জমিতে এখন বাঁশ পড়েছে, মঞ্চ বাঁধা হচ্ছে। গেরুয়া সাজে সাজছে সবুজ ধানজমি। রাজ্য বিজেপি নেতারা এখন প্রশাসনের এই ভূমিকাকেই শাসকদলের বিরুদ্ধে খাঁড়া করতে বদ্ধপরিকর।

জাতীয় সড়কের ধারে মঞ্চ
বিজেপির অভিযোগ, কোচবিহার শহরে কোন জায়গা দেওয়া হয়নি তাঁদের। সেই কারণেই শহর ছাড়িয়ে কিছুটা দূরে নাটাবাড়িতে ধানজমিকে বেছে নিয়েছে রথযাত্রার সূচনা অনুষ্ঠানের জন্য। ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে এই ধান জমিকেই গেরুয়া শিবির বেছে নিয়েছে সভাস্থল হিসেবে।

রাজ্যের চিত্র, দিলীপ-বচনে
বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, কোচবিহার শহরে একটা ময়দান পাওয়া গেল না। এই হচ্ছে রাজ্যের গণতন্ত্রের চিত্র। তাই বাধ্যতামূলকভাবে বিজেপি কর্মীর এই জমিতে সভা করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আমরা রাজ্যের এই চিত্রই তুলে ধরতে চাই জাতীয় রাজনীতিতে।

মাঠ তো পেয়েছিল বিজেপি
কিন্তু মাঠ তো পাওয়া গিয়েছিল! বিজেপি রাজ্য সভাপতি তা শুনে বলেন, হ্যাঁ একটা মাঠ পাওয়া গিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু কোচবিহারের ওই রেল ময়দান ছোট। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভা অত ছোট ময়দানে হওয়া অসম্ভব। তাই ওই ময়দানে সভা না করে, ধানজমিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।

বিজেপি কর্মীদের মধ্যে উৎসাহ
তিনি জানান, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির সভাতে ভিড় সামাল দেওয়া মুশকিল হয়ে দাঁড়াবে ওই ছোট ময়দানে। তাই বিজেপি কর্মীর ধান জমিতে মঞ্চ গড়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ধান কাটা হয়ে গিয়েছিল আগেই। বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাই তা পরিষ্কার করে ফেলেছেন। ওই মাঠে অন্তত ৫০ হাজার লোক ধরবে বলে জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি।