বাহিনী নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে বিজেপি! শান্তিতে ভোট চাই, বললেন জয়প্রকাশ
কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা বিজেপির! কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি খারিজ করে দিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর তা খারিজ করে দিয়ে রাজ্য পুলিশেই আস্থা আদালতের। আর এহেন নির্দেশ সামনে আসার পরেই ফের একবার আইনি প্রস্তুতি বিজেপির
কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা বিজেপির! কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি খারিজ করে দিলেন প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আর তা খারিজ করে দিয়ে রাজ্য পুলিশেই আস্থা আদালতের। আর এহেন নির্দেশ সামনে আসার পরেই ফের একবার আইনি প্রস্তুতি বিজেপির তরফে।
জানা যাচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের একবার আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। মামলা দায়ের করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টে।
এর আগেও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। কলকাতা পুরসভা ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি নিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয় তাঁরা। যদিও সেই মামলায় খারিজ করে দেয় আদালত। শুধু তাই নয়, এই বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করার নির্দেশ দেয় আদালত।
এই অবস্থায় দ্বিতীয়বারের জন্যে ফের একবার সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি। হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা বিজেপির। জরুরি ভিত্তিতে শনিবারই মামলার শুনানির জন্যে আবেদন জানানো হয়েছে। এমনটাই বিজেপি সুত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, শনিবার সকালেই প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জরুরি ভিত্তিতে শুনানি হবে।
এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন কীভাবে সিদ্ধান্ত নিল পুরভোট অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হবে রাজ্য পুলিশ দিয়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে দেখা গিয়েছে কীভাবে রক্তপাতের ঘটনা ঘটেছে। ফলে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে ব্যর্থ হয়েছে নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকার। আর এখানেই বাহিনীর পক্ষে সওয়াল বলে দাবি বিজেপি নেতার।
শুধু তাই নয়, এক টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আরও জানিয়েছেন, আমরা চাই অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। আর সেই কারনেই এই লড়াই বলে দাবি বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের।
উল্লেখ্য, বাহিনীর দাবিতে লাগাতার আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। প্রথম সুপ্রিম কোর্ট, ফের কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চ, নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ফের একবার ডিভিশন বেঞ্চ। প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধাক্কা। রাজ্য পুলিশেই আস্থা। এই অবস্থায় ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি।
তবে এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে একের পর এক তোপের মুখে পড়তে হয় রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। পুরভোটে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের লক্ষ্যে যদি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকে তাহলে অসুবিধা কোথায়? আগামী ১৯ ডিসেম্বর পুরভোট, ভোটার ও বুথগুলির নিরাপত্তা প্রসঙ্গে এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন প্রসঙ্গে এদিন এরকম একাধিক প্রশ্ন তোলে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ।
কিন্তু তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কমিশন। কিন্তু এরপরেও রাজ্য পুলিশের উপরেই আস্থা রেখেছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত মনে করেছে, নির্বাচন কমিশন অবাধ এবং সুশঠ ভাবে ভোট করাতে পারবে। আর তা না পাড়লে দায় গিয়ে তাঁদের উপর বর্তাবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু এরপরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে বিজেপি।