সন্দেশখালির হিংসায় লালবাজার অভিযানের ডাক বিজেপির, মমতার সরকারকে চ্যালেঞ্জ
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় লালবাজার অভিযানের ডাক দিল বিজেপি। রবিবার সন্দেশখালির ন্যাজাটের হাটগাছি গ্রামে পরিদর্শনে যায় তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই।
উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় লালবাজার অভিযানের ডাক দিল বিজেপি। রবিবার সন্দেশখালির ন্যাজাটের হাটগাছি গ্রামে পরিদর্শনে যায় তৃণমূল ও বিজেপি উভয়েই। বিজেপির প্রতিনিধি দল ন্যাজাটে গিয়ে ঘোষণা করে লালবাজার অভিযানের। ১২ জুন লালবাজার অভিযানে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় নেতারাও।
এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ থেকে শুরু করে লকেট চট্টোপাধ্যায়, রাহুল সিনহা, শান্তনু ঠাকুর, জগন্নাথ সরকার, অর্জুন সিংরা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা দাবি করেন, এই ঘটনার পিছনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্ররোচনা রয়েছে। তৃণমূল কর্মীরাই বিজেপি কর্মীদের ঘরে ঢুকে মারছে।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। এদিন লালবাজার অভিযানোর ঘোষণা করে বিজেপির পক্ষ থেকে জানানো হয়- ওইদিন লক্ষাধিক লোকের সমাগম করা হবে। লালবাজার অভিযান করে রাজ্য প্রশাসনের ব্যর্থতা জন সমক্ষে তুলে ধরবে বিজেপি।
শনিবার সন্দেশখালির ন্যাজাট থানার অন্তর্গত হাটগাছি গ্রামে তৃণমূলের প্রতিবাদ মিছিল চলাকালীন বিজেপির ফ্ল্যাগ খুলে তৃণমূলের ফ্ল্যাগ লাগানো নিয়ে গন্ডগোলের সূত্রপাত। তা থেকেই আগুন জ্বলতে শুরু করে এলাকায়। এই অগ্নিগর্ভ অবস্থার মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চলে। ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় এক জনের। বিজেপিরও তিন কর্মী নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। তা নিয়ে চলছে চাপানউতোর।
তবে বিজেপির তরফ থেকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দাবি করা হচ্ছে। বিজেপির আরও দাবি এই রেশ মিটতে না মিটতেই, তারা বিজেপির তিন কর্মীকে পাল্টা গুলি করে খুন করেছে। সুকান্ত মণ্ডল ও প্রদীপ মণ্ডল ও আরও এক বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি বিজেপির।