
বিজেপি-আরএসএসের ‘অস্ত্র’ ভোঁতা, জিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে ধর্মীয় তাস ছড়ানোর ‘ফন্দি’ ফাঁস গেরুয়া শিবিরের
আগ বাড়িয়ে সাম্প্রদায়িক তাস ছড়াতে গিয়ে জিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে বিপাকে পড়ল বিজেপি। আরএসএসও বিব্রত জিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে ধর্মীয় রং লাগাতে গিয়ে। জিয়াগঞ্জে শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে নৃশংস খুনের কিনারা হওয়ার পরই বিজেপি-আরএসএসের ফন্দি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এখন নাটক করতে রাষ্ট্রপতির কাছে অভিযোগ জানাতে গিয়েছেন মুকুল রায় সহ বিজেপি নেতারা।

জিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে ধর্মীয় তাস
এর আগে কখনও ধুলোগড়, কখনও বসিরহাট, কখনও দাড়িভিট, আবার এখন জিয়াগঞ্জে ধর্মীয় তাস ছড়াতে উদ্যত হয়েছিল আরএসএস। বিজেপি প্রচার চালাচ্ছিল শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল রাজনৈতিক হত্যার শিকার হয়েছেন। আরএস প্রচার চালাচ্ছিল জিহাদিদের হাতে খুন হয়েছেন শিক্ষক বন্ধপ্রকাশ।

রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কারণ নেই
কিন্তু মঙ্গলবার স্থির হয়ে যায়, বন্ধুপ্রকাশ পাল ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানকে নৃশংস হত্যার পিছনে কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় কারণ নেই। নিতান্তই আর্থিক লেনদের কারণে খুন হয়েছেন বন্ধুপ্রকাশ ও তাঁর স্ত্রী-সন্তান। তাই বিজেপি ও আরএসএসের মুখ পোড়ে এই ঘটনায়।

বিজেপি-আরএসএসের অস্ত্র ভোঁতা
মুর্শিদাবাদ পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে এই ঘটনায় সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষের কোনও যোগ নেই। এই ঘটনায় রাজনৈতিক আক্রোশেরও কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই বিজেপি-আরএসএসের অস্ত্র ভোঁতা হয়ে যায় জিয়াগঞ্জ-কাণ্ডে। হালে পানি না পেয়ে বিজেপি এবার রাষ্ট্রপতি সকাশে যান রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে অভিযোগ জানাতে।

প্রকৃত সত্য সামনে আসতেই জারিজুরি শেষ
বিজেপি-বিরোধীরা এই ঘটনায় প্রচার করতে শুরু করেছে বিজেপি মেরুকরণের রাজনীতি করতে শুরু করেছিল খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে। কিন্তু সব জারিজুরি শেষ হয়ে গিয়েছে প্রকৃত সত্য সামনে আসতেই। তবে মুকুল পাল্টা দিয়েছেন, এইসব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপপ্রচার। বন্ধুপ্রকাশ পালের বাবা ফোন করে প্রকৃত তদন্ত দাবি করেছেন।
মুকুলের গড়ে বড় জয় মমতার! বিজেপিকে হারিয়ে নৈহাটি পুরসভা দখল তৃণমূলের