
জোর টক্কর উত্তরাখণ্ডে! বিজেপি না কংগ্রেস এবার ক্ষমতায়, পূর্বাভাস এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষায়
২০১৭-য় কংগ্রেসকে হারিয়ে উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু এই পাঁচ বছরে বিজেপিকে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী বদল করতে হয়েছে। অভিন্তরীণ সমস্যা প্রকট হয়েছে রাজ্যে। তার ফলে এবার কংগ্রেস ফের বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জায়গায় চলে এসেছে। এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষায় তার পূর্বাভাসই মিলল।

এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২২ উত্তরাখণ্ড বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোর টক্কর হতে চলেছে কংগ্রেসের। বিজেপির ক্ষমতায় ফেরা এবার দুরুহ হয়ে উঠছে যত ভোট এগিয়ে আসছে। কংগ্রেস ২০২২-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে এই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী।
এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচন বিজেপি পেতে পারে ৩১ থেকে ৩৭টি আসন। আর কংগ্রেস পেতে পারে ৩০ থেকে ৩৬টি আসন। ৭০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় যে কেউ পেতে পারে সংখ্যাগরিষ্ঠতা। ২০২১-এর জনমত সমীক্ষায় বিজেপির পাল্লা ভারী ছিল। কিন্তু যত নির্বাচন এগিয়ে এসেছেন বিজেপি নেমেছে, বেড়েছে কংগ্রেসের সম্ভাবনা।
এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষায় আভাস, বিজেপি পেতে পারে ৪২.৬ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেস পেতে পারে ৪০.৬ শতাংশ ভোট। আম আদমি পার্টি ১৩ শতাংশ ভোট পেতে পারে এবার। অন্যান্যরা পেতে পারে ৩.৯ শতাংশ ভোট। কংগ্রেস বিজেপির থেকে ২ শতাংশ ভোট কম পেয়েও এবার উত্তরাখণ্ডে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে আভাস দিয়েছে সমীক্ষা।
২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৪৬.৫ শতাংশ ভোট। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ৩৩.৫ শতাংশ ভোট। অন্যান্যরা ২০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। আম আদমি পার্টি সেবার ভোটে লড়েনি। তবে এবার প্রথমবার উত্তরাখণ্ডে পা দিয়েই তারা প্রভাব বিস্তার করেছে। সমীক্ষা অনুযায়ী কংগ্রেসের ভোট বাড়ছে প্রায় সাত শতাংশ। আর বিজেপির ভোট কমছে প্রায় ৪ শতাংশ।
গত নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৫৭টি আসন। ৭০টির মধ্যে ৫৭টি আসন দখল করে কংগ্রেসকে প্রান্তিক শক্তিতে রূপান্তরিত করেছিল বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল ১১টি আসন। বাকি দুটি আসন পেয়েছিল অন্যান্যরা। এবার সেখান থেকে কমপক্ষে ২০টি আসন হারাতে চলেছে বিজেপি। আর কংগ্রেস বাড়াতে চলেছে ২০টিরও বেশি আসন।
Recommended Video

বিজেপি এবার পুষ্কর সিং ধামির মতো এক তরুণ মুখকে তুলে ধরে নির্বাচনে লড়ছে। আর কংগ্রেস আস্থা রেখেছে প্রবীণ নেতা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরিশ রাওয়াতের উপর। এখন দেখার আম আদমি পার্টি এ রাজ্যে কিংমেকার হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে কি না। বিজেপি এবং কংগ্রেস ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য রাজ্যের নির্বাচনে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে।