লালগড়ের নেতাইয়েই আক্রান্ত তৃণমূল! আশঙ্কাজনক একজন ভর্তি হাসপাতালে
তৃণমূল কর্মীকে মারধরে অভিযোগ উঠল লালগড়ের নেতাইয়ে । অভিযুক্ত বিজেপি। দলের আহত কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের বিনপুর একনম্বর ব্লকের সভাপতি সহ দুজন।
তৃণমূল কর্মীকে মারধরে অভিযোগ উঠল লালগড়ের নেতাইয়ে । অভিযুক্ত বিজেপি। দলের আহত কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের বিনপুর একনম্বর ব্লকের সভাপতি সহ দুজন। সেখানেই তাঁদের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কর্মী ষষ্ঠী ধীবরকে ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির হাতে আক্রান্ত হয়েছেন, তৃণমূলের বিনপুর একনম্বর ব্লকের সভাপতি শ্যামল মাহাত। তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, রবিবার ভোট চলার সময় নেতাইয়ের পাশের গ্রামে একটা ঝামেলা হয়েছিল। সেই সময় তাদের এককর্মীকে বিজেপি মারধর করেছিল বলে অভিযোগ তৃণমূলের। তাঁকে কুড়ুল দিয়ে আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। তাঁকে ভর্তি করা হয় ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। সোমবার তাঁকেই দেখতে যান তৃণমূলের বিনপুর একনম্বর ব্লকের সভাপতি শ্যামল মাহাত। সঙ্গে ছিলেন আরও এক তৃণমূল কর্মী।
আক্রান্ত কর্মীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসার পথে বিনপুর একনম্বর ব্লকের সভাপতি শ্যামল মাহাতর ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। শ্যামল মাহাতকে মারধর করা হয়। তাঁকে গাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়। আহত দুজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে লালগড় প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যান। নেতার সঙ্গী ষষ্ঠী ধীবরের আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
যদিও বিজেপির দাবি, তৃণমূলের দলীয় কোন্দলের জেরেই এই হামলার ঘটনা।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি এই নেতাইয়েই সিপিএম নেতা রথীন দণ্ডপাটের বাড়িতে থাকা সিপিএম-এর শিবির থেকে সাধারণ গ্রামবাসীদের ওপর সশস্ত্র হামলার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ঘটনায় ৪ মহিলা-সহ ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই কাণ্ডের সূত্রে ধরে, স্থানীয় সিপিএম নেতা চণ্ডী করণ, অনুজ পাণ্ডে, ডালিম পাণ্ডে, রথীন দণ্ডপাট-সহ সাত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে সিবিআই।