অমিতের প্রচার ঝড়! দিকে দিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ
অমিত শাহের সভা থেকে বাড়িতে ফেরত যেতে না যেতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ। সবথেকে বেশি হামলার অভিযোগ এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার থেকে।
অমিত শাহের সভা থেকে বাড়িতে ফেরত যেতে না যেতেই বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ। সবথেকে বেশি হামলার অভিযোগ এসেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার থেকে। এছাড়াও উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট এবং বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর থেকেও হামলার অভিযোগ এসেছে। তৃণমূলের তরফে অবশ্য সব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
অমিত শাহের মেয়ো রোডের সভায় যোগ দিয়েছিলেন রাজ্যের বিভিন্ন অংশ থেকে আসা কর্মী-সমর্থকরা। সন্ধের মধ্যে অনেকে বাড়িতে পৌঁছে যান। কারও পৌঁছতে রাত হয়ে যায়। অভিযোগ, শনিবার রাতে রাজ্যের এেকাধিক জায়গায় বিজেপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়। কোথাও হামলা হয় পার্টি অফিসে। কোথাও হামলা চলে দলের নেত্রীর বাড়িতে। হামলার প্রতিবাদ করে রবিবার বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ডহারবার কেন্দ্রের ডায়মন্ডহারবার, নোদাখালি, ফলতা, বিষ্ণুপুরের পার্টি অফিস-সহ সাতটি জায়গায় হামলা চলে বলে অভিযোগ।
নোদাখালিতে বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে হামলা চলে। বাধা দিতে গেলে বন্দুকের বাঁটের ঘায়ে নেত্রীর স্বামীর মাথা ফাটে। নেত্রী শিশুকে রিভলভার দিয়ে ভয় দেখানো হয় বলেও অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগও করছেন। বিষয়টি নিয়ে নোদাখালি থানায় অভিযোগে দায়ের করা হয়েছে।
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিজেপি সভাপতি অভিজিত দাসের অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতেই এই হামলা।
বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে মেয়োর রোড ফেরত তাদের কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে।
বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরেও বিজেপির দলীয় দফতরে হামলা হয়। ইটের ঘায়ে গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়।
তবে সব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, প্রচার পেতেই নিজেরাই এই হামলা চালিয়েছে।