কাটমানিতে অভিযুক্ত সরকারি চিকিৎসক! প্রবল আন্দোলন বিজেপির
তৃণমুল নেত্রীর আশীর্বাদধন্য এক চিকিৎসক নেতার হুমকিতে কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
তৃণমুল নেত্রীর আশীর্বাদধন্য এক চিকিৎসক নেতার হুমকিতে কাজ ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন সদর হাসপাতালের চিকিৎসকরা। একে একে ওই হাসপাতালের ১৬ জন চিকিৎসক ইতিমধ্যেই চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। তৃণমূলের অভিযুক্ত ওই চিকিৎসক নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের দপ্তরে শুক্রবার বিক্ষোভ দেখালো বিজেপি। তাদের অভিযোগ জলপাইগুড়ি জেলায় স্বাস্থ্য পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়েছে। জেলা হাসপাতালে চিকিৎসকের অভাব। বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে একের পর এক রোগী। এমনই অভিযোগ বিজেপির। যদিও বিজেপির ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। তিনি বলেন, জেলার স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকে সরকার সব সময়ই নজর রাখছে।
এদিন জলপাইগুড়ি জেলা যুব মোর্চার সভাপতি শ্যাম প্রসাদ অভিযোগ করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশীর্বাদধন্য এক চিকিৎসক নেতা আছেন তিনি
সবাইকে ধমকে চমকে রেখেছেন। ওই চিকিৎসক নেতার জন্য ১৬ জন চিকিৎসক চাকরি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, জলপাইগুড়ি হাসপাতালে ও অন্য চিকিৎসকদের ধমকে চমকে রাখছেন ওই চিকিৎসক। সেই কারণে অভিযুক্ত ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। নাহলে বিজেপির পক্ষ থেকে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে লাগাতার বিক্ষোভ সমাবেশ চালাবে। হাসপাতালে চিকিৎসার নামে যারা গুণ্ডাগিরি করছে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও
জানায় বিজেপি।
বিজেপির অভিযোগ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ওই তৃণমূলের ওই চিকিৎসকের কাছে থেকে নিয়মিত কাটমানি পেয়ে এখন দলদাসে পরিণত হয়েছেন। জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে হাসপাতালে তৃণমুলের দাদাগিরি গুন্ডাগিরি চলছে। সিসিইউ থাকলেও সচল নয়। আয়া-মাসিদের কোনও কারণ না দেখিয়েই বের করে দেওয়া হচ্ছে। এদিন বিজেপির বিক্ষোভ কর্মসূচীকে কেন্দ্র করে জলপাইগুড়ির ডিএসপি হেডকোয়ার্টারের নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছিল।
অন্যদিকে,
জলপাইগুড়ির
মুখ্য
স্বাস্থ্য
আধিকারিক
জগন্নাথ
সরকার
জানান,
বিজেপির
অভিযোগ
ভিত্তিহীন।
যে
সব
চিকিৎসক
কাজ
ছেড়ে
গিয়েছেন,
তাঁরা
বিভিন্ন
সমস্যা
দেখিয়ে
কাজ
ছেড়েছেন।
কিন্তু
কারও
হুমকিতে
বা
কারও
সঙ্গে
কোনও
সমস্যার
জন্য
কাজ
ছাড়েননি।
তিনি
আরও
বলেন,
সুপারের
ক্ষমতা
আছে
তিনি
যখন
বাইরে
যাবেন
কাজে
বা
ছুটিতে
তখন
তিনি
যোগ্য
কাউকে
সুপারের
দায়িত্ব
সামলানোর
জন্য
দিয়ে
যেতে
পারেন।
অ্যাসিস্ট্যান্ট
সুপার
সুপারের
চার্জ
নিতে
পারেন
না।