বিজেপি এগিয়ে যেতেই রাতে বন্দুক উঁচিয়ে তাড়া এজেন্টকে! কোথায় ঘটেছে এমন
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার দিনও হিংসা আর উত্তেজনা থেকে রক্ষা পায়নি রাজ্যের বিভিন্ন অংশ। একাধিক জায়গায় বিরোধীদের গণনাকেন্দ্রে ঢুকে বাধা দেওয়া থেকে শুরু করে মারধরের ঘটনা ঘটে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোটগণনার দিনও হিংসা আর উত্তেজনা থেকে রক্ষা পায়নি রাজ্যের বিভিন্ন অংশ। একাধিক জায়গায় বিরোধীদের গণনাকেন্দ্রে ঢুকে বাধা দেওয়া থেকে শুরু করে মারধরের ঘটনা ঘটে। মাজদিয়ায় ছাপ্পাভোটকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা। রাতের দিকে খবর আসে শিলিগুড়ির রাজগঞ্জ থেকে। সেখানেও ভোট ঘিরে গণ্ডোগোলের খবর আসে।
বিজেপির অভিযোগ ভোটগণনা কেন্দ্রে বিজেপি লিড নিতেই তাঁদের এজেন্টকে তাক করে বন্দু উঁচিয়ে আসে শাসকদল। বিজেপির দাবি, এতে জড়িত রয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা। ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি জেলা পরিষদ আসনে তাদের প্রার্থী অলোক সেন দুহাজার আটশো ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেবাশিস প্রামাণিকের থেকে এগিয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গণনাকেন্দ্রে ঢুকে গন্ডোগোল বাঁধায়। পুলিশের সামনেই বিজেপি এজেন্টকে পিস্তল দেখিয়ে হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ রয়েছে বিজেপি-র তরফে।
[আরও পড়ুন: 'অনুব্রতর মশারি ফুটো করে দিয়েছে মানুষ', কে বললেন এমন কথা জানেন ]
যদিও পরে তৃণমূলের তরফে সমস্ত অভিযোগ খারিজকরে দেওয়া হয়। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে বিজয়ী হন গেবাশিস প্রামাণিক। পরে বিজয়ী প্রার্থী জানান, বিজেপির অভিযোগ মিথ্যা। তিনি ২৫ হাজার ভোটে জিতেছেন। ফলে বিজেপি-র 'লিড' নেওয়া বা মারধরের ঘটনা ঘটতেই পারে না। এদিকে, কোচবিহারে উত্তরবঙ্গ উন্নয়মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধেও গতকাল নিরক্বাচনী কেন্দ্রে পুলিশকে শাসানোর পাশাপাশি বিডিও-কে হুমকি দেওয়ার খবর উঠে আসছে।