মমতার চ্যালেঞ্জে পিছু হটল মোদী-শিবির, অস্ত্রপুজোকে রামনবমীর রূপ দিতে ব্যর্থ
রাজ্য সরকার অস্ত্রপুজোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা সত্ত্বেও রাজ্যের প্রায় তিন শতাধিক জায়গায় অস্ত্রপুজো হয়েছে। কিন্তু কোথায় অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেনি।
রাজ্য প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দেখিয়ে অস্ত্র পুজো হল বাংলাজুড়ে। তবে অস্ত্র নিয়ে এদিন মিছিল করা হল না বিশ্ব হিন্দু পরিষদের। রাজ্য প্রশাসনের কড়াকড়িতে এবার বিজয়া দশমীর অস্ত্রপুজোকে রামনবমীর রূপ দিতে ব্যর্থ হল গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে দুই পক্ষই তাঁদের নৈতিক জয় হয়েছে বলে দাবিতে অনড় থেকেছে।
গেরুয়া শিবিরের দাবি, রাজ্য সরকার তাঁদের অস্ত্রপুজো আটকাতে চেয়েছিল, পারেনি। রাজ্যের প্রায় তিন শতাধিক জায়গায় অস্ত্রপুজো হয়েছে। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার বাসিন্দা তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা জয়দেব তালোধি রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তিনি সেই হাইকোর্টের রায়কে পাথেয় করে অস্ত্রপুজো করেন।
হাইকোর্টের রায়ের প্রেক্ষিতেই বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বিভিন্ন জায়গায় অস্ত্রপুজো করে রাজ্যকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। রাজ্যও তার পাল্টা দিয়েছে। প্রশাসনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের প্রতিবাদ ছিল অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় মিছিলের বিরুদ্ধে। সেই কারণেই অস্ত্রপুজো নিষিদ্ধের কথা বলা হয়েছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় অস্ত্রপুজো করতে হবে বাড়িতেই। অস্ত্র নিয়ে বাইরে মিছিল করা যাবে না।
তাই হাইকোর্টের রায় এক্ষেত্রেও তাঁদের পক্ষে গিয়েছে বলে শাসক শিবিরের দাবি। শাসকপক্ষের কথায়, রাম নবমীতে অস্ত্র হাতে মিছিল করে তাণ্ডব চালিয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও সঙ্ঘ পরিবার। আর যাতে সেই পরিস্থিতির তৈরি না হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। কেউ নিয়ম ভাঙলে মমতার প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিল। এদিন অস্ত্র-মিছিল না হওয়ায় প্রশাসনকে সেই চ্যালেঞ্জ নিতে হয়নি।
উল্লেখ্য বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি রায় দিয়েছিলেন, অস্ত্র পুজো করার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। বাড়িতে অস্ত্রপুজো করতেই পারেন। তবে অস্ত্র নিয়ে বাইকরে কোনও মিছিল করা যাবে না। সেই নির্দেশ মেনেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে অস্ত্রপুজো হয়।