বীরভূমে 'গুড়-বাতাসা'-র স্মৃতি উসকে কামারহাটিতে বিলি 'গ্লুকোজ জল'
কামারহাটি, ২৫ এপ্রিল : ভোটের বাজারে একেরপর এক রঙ্গচিত্র উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যমে। তা নিয়ে ঠাট্টা-মশকরা যেমন হয়েছে, তেমনই এর পিছনে কি ভয়াবহ সন্ত্রাসের ইঙ্গিত রয়েছে তা নিয়েও নিরন্তর কাটাছেঁড়া চলেছে।
চতুর্থ দফা নির্বাচনের LIVE UPDATE পড়ুন এখানে
বীরভূমের ভোটে লোকের মুখে মুখে ঘুরেছে সেই জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের 'গুড়-বাতাসা'-র কথা। কেন্দ্রীয় বাহিনী থেকে শুরু করে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাচন আধিকারিক থেকে শুরু করে বিরোধীদের জন্যও এমনকী বুথে বুথে 'গুড়-বাতাসা'- খাওয়ানোর কথা বলেছিলেন তিনি।
এরপর ভোটের সময়ে দিকে দিকে গন্ডগোলের পর সেই ইঙ্গিত নিয়েও আলোচনা চলেছে। ভোটারদের ভয় দেখানো, প্রভাবিত করা, বিরোধীদের ভোটকেন্দ্রে না যেতে দেওয়া, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
তবে সেই 'গুড়-বাতাসা' নামক সংক্রমণ যে এভাবে রাঙা মাটির দেশ ছেড়ে একেবারে কামারহাটিতে এসে ঘাঁটি গাড়বে তা কেউ আন্দাজ করেনি। তা একেবারে বস্তব করে দেখিয়েছেন বীরভূমের এক তৃণমূল নেতা, নাম আশিস দে।
রাঙা মাটির দেশ থেকে তৃণমূল প্রার্থী মদন মিত্রকে জেতাতে তিনি এসেছেন কামারহাটিতে। তবে শহর লাগোয়া কামারহাটিতে গুড়-বাতাসা 'ফ্লপ' হতে পারে মনে করে এখানে ক্যাম্প তৈরি করে ভোটারদের ও দলের কর্মীদের 'গ্লুকোজ জল' খাওয়াচ্ছেন তিনি।
এর পাশাপাশি 'প্রিয়' মদনদার জন্য ভোট তদারকিও করছেন তিনি। একেবারে বুথে বুথে ঘুরে দেখছেন। এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আশিসবাবুর সাফ কথা, দিল্লি থেকে সীতারাম ইয়েচুরি বা সিদ্ধার্থনাথ সিং আসতে পারলে তিনি বীরভূম থেকে আসতে বাধা কোথায়?
সত্যিই তো, ভোটের কাজে তিনি আসতেই পারেন। তবে 'গুড়-বাতাসা'-র পিছনে যে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি হয়েছিল বীরভূম জুড়ে, তা এই 'গ্লুকোজ জল'-এর মধ্য দিয়ে কামারহাটিতে ফিরবে না তো? এই প্রশ্নটা কিন্তু রয়েই গেল।