পঞ্চায়েতে বিরোধীদের ভয় দেখাতে 'নয়া পন্থা'! অনুব্রত-র অভিযোগ নিয়ে তথ্য নেই পুলিশের কাছে
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল মাওবাদী জুজু। জেলায় মাওবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল মাওবাদী জুজু। জেলায় মাওবাদী কার্যকলাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁতিপাড়ার কিছু ছেলে মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে বলে অভিযোগ করেছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও বিষয়টি নিয়ে পুলিশ সুপারের কাছে এখনও কোনও রিপোর্ট নেই বলেই জানা গিয়েছে।
আগের সপ্তাহেই জেলায় হয়ে গিয়েছে প্রশাসনিক বৈঠক। সেখানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই জেলার পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীর কুমার জানিয়েছিলেন জেলায় মাওবাদী কার্যকলাপ নেই। আর পঞ্চায়েত ভোট প্রক্রিয়া শুরু হতেই অনুব্রত মণ্ডল দলীয় কর্মী-সমর্থকদের মাওবাদী কার্য কলাপ নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি বলেছেন, ছেড়ে কথা বলা হবে না। তাঁতিপাড়ার কিছু ছেলে মাওবাদীদের সঙ্গে যোযাযোগ রাখছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। দলের কর্মী-সমর্থকদের সেই সব যুবকদের নাম পুলিশের কাছে দিতে বলেছেন অনুব্রতম মণ্ডল।
তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি এই অভিযোগকে অবশ্য সন্দেহের চোখেই দেখছে জেলার বিরোধী রাজনৈতিক মহল। মূলত বিজেপি আটকাতেই এই রাজনৈতিক তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে তৎকালীন বাম শাসনের সময় তাঁতিপাড়া এলাকায় মাওবাদীদের হামলায় মারা গিয়েছিলেন সিপিএম জেলা কমিটির দুই নেতা শ্রীদাম দাস এবং নন্দলাল মিস্ত্রি। বর্তমানে তৃণমূলের হামলায় ভঙ্গুর দশা বামদলের। বেশিরভাগ নাম লিখিয়েছে বিজেপিতে। এমন কী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের বর্তমান সদস্যও। বিজেপিতে ভিড় বাড়তে থাকায় অনুব্রত মণ্ডল মাওবাদী তত্ত্ব খাড়া করছেন বলেই অভিযোগ জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের।
বিজেপির জেলা নেতৃত্বের প্রশ্ন, যেখানে পুলিশ সুপার মাওবাদী অস্তিত্বের কথা জানেন না, সেখানে অনুব্রত মণ্ডল মাওবাদী অস্তিত্ব টের পেলেন কী করে। জেলা সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, তৃণমূল যে ধারাবাহিক হামলার প্রক্রিয়া জারি রেখেছে, এটা তার নবতম সংযোজন। মাওবাদী অভিযোগে কেস দিয়ে পঞ্চায়েতের প্রার্থীদের চাপ দেওয়ার তৃণমূলের এটা নতুন কৌশল বলেই মনে করছে জেলার বিরোধী রাজনৈতিক মহল।