শেখ দিলদার হত্যা! তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত মমতার সরকারের
সিউড়ির কড়িধ্যায় শেখ দিলদার হত্যার তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত। সিউড়ি থানার তদন্তকারী অফিসার সৌম্য দত্তের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিউড়ি থানার আইসি দেবাশিস পান্ডাকে।
সিউড়ির কড়িধ্যায় শেখ দিলদার হত্যার তদন্তকারী অফিসার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত প্রশাসনের। সিউড়ি থানার তদন্তকারী অফিসার সৌম্য দত্তের হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিউড়ি থানার আইসি দেবাশিস পাণ্ডাকে। তদন্তে গতি আনতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তদন্ত গতি আনতে সিট গঠনের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
শেখ দিলদারের হত্যার ঘটনা ঘটেছিল ২৩ এপ্রিল সোমবার দুপুরে। কিন্তু সেই ঘটনার ৪৮ ঘণ্টা পরেও ঘটনাস্থল থেকে গুলি-বোমা সংগ্রহ করতে পারেনি পুলিশ। যদি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ৪ বিজেপি নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে ঘটনার দিন দিলদারের বাবা ফরিদ খান পুলিশে করা অভিযোগে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের দিকে অভিযোগ করেছিলেন। তারও কোনও দিশা দিতে পারেনি পুলিশ। ফলে তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
এর আগে সিউড়ির কড়িধ্যায় শেখ দিলদারকে গুলি করে খুনের ঘটনায় চার বিজেপি নেতা-সমর্থককে গ্রেফতার করে সিউড়ি থানার পুলিশ। একইসঙ্গে বিজেপি পার্টি অফিসে হামলার ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মীকেও গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার মনোনয়ন পত্র জমা দিতে গিয়ে সিউড়িতে তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে মৃত্যু হয় শেখ দিলদারের। মৃত্যুর পর ফরিদ খান জানিয়েছিলেন, শ্যামসুন্দর গড়াইয়ের সঙ্গেই ছিলেন তার ছেলে শেখ দিলদার। হামলা চালিয়েছিল স্থানীয় তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। যদিও ঘন্টা দুয়েকের মধ্যে বদলে যায় সেই বয়ান। অভিযোগ করেন, শ্যামসুন্দর গড়াইয়ের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ড থেকে আসা বিজেপি হামলাকারীদের আক্রমণে মৃত্যু হয়েছে তার ছেলের।
সোমবার বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে সিউড়ি ব্লক অফিসের দিকে যেতে শুরু করে বিজেপির প্রার্থী ও সমর্থকরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময় বাধা দেয় ব্লক অফিসের কাছেই ঘাঁটি গেড়ে থাকা তৃণমূল সমর্থকরা। শুরু হয়ে যায় দুপক্ষের বোমাগুলির লড়াই।
দুপক্ষের লড়াইয়ে যথেচ্ছ বোমাগুলি ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। দুপক্ষের হাতেই বোমা ও অস্ত্র ছিল বলে স্থানীয় সূত্রে খবর।
বোমার আগুনে এলাকার বেশ কিছু দোকান ও বাড়ি ভস্মীভূত হয়ে যায়। সামনে পুলিশ থাকলেও, তারা কোনও রকম ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ।