হঠাৎই মনোভাবে 'পরিবর্তন'! অমিত শাহের ফোনের পরেই খোল করতালে ব্যস্ত অনুব্রত
এখন আর সবার সামনে বোমা মারার কথা মুখে আনেন না। তিনি খোল করতাল নিয়েই ব্যস্ত। তবে যে সে খোল করতাল নয়, নীল সাদা খোল করতাল।
এখন আর সবার সামনে বোমা মারার কথা মুখে আনেন না। তিনি খোল করতাল নিয়েই ব্যস্ত। তবে যে সে খোল করতাল নয়, নীল সাদা খোল করতাল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কোনও সরকারি প্রকল্প নয়, জেলা তৃণমূলের তরফে এই খোল করতালের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। বীরভূম জেলা তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোক শিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন অনুব্রত মণ্ডল।
ভোট সামনে আসলেই তাঁর মুখে গুড়-বাতাসা কিংবা চড়াম চড়াম করে ঢাক বাজানোর কথা। এবার সেই অনুব্রত মণ্ডলের মুখেই শোনা যাচ্ছে অন্য কথা। কার্যত ২০১৯-এর ভোটটাকে অন্যভাবেই করাতে চাইছেন তিনি। চলে গিয়েছেন খোল করতালে। আরও স্পষ্ট করে বলতে গেলে নাম-সংকীর্তনে।
জেলা তৃণমূল সূত্রে খবর, জেলায় থাকা সংকীর্তনের দলগুলিকে খোল করতাল বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বীরভূম জেলা তৃণমূলের বৈঠকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল সব কীর্তন দলের নাম জোগার করতে। এরপরেই প্রায় ছয় হাজার খোল করতালের অর্ডার দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। সেইসব খোল করতালের রঙ হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় নীল-সাদা রঙ।
জেলা বিজেপি অবশ্য অনুব্রত মণ্ডলের উদ্যোগে সিঁদুরে মেঘ দেখছে। তৃণমূল লোকসভা ভোটের আগে জেলার মানুষের মনে হিন্দুত্ববাদী মনোভাবকে জাগ্রত করতে চাইছে বলে মনে করছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।
দিন কয়েক আগে নিজেই জানিয়েছিলেন, এসএসকেএম-এ রেগুলার চেকআপের জন্য যখন ভর্তি হয়েছিলেন, ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।