রাস্তায় মিছিলের পরিবর্তে 'গর্ত'-এ ঢুকল সিপিএম, ক্ষুব্ধ কর্মীরা, কোথায় ঘটল এমন ঘটনা
নির্দিষ্ট দিনেই মিছিলের কর্মসূচি বাতিল করে দিল জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। মিছিল করলেই সিপিএম মার খাবে বলে, রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল। এরপর সোমবার নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে সিপিএম
নির্দিষ্ট দিনেই মিছিলের কর্মসূচি বাতিল করে দিল জেলা সিপিএম নেতৃত্ব। মিছিল করলেই সিপিএম মার খাবে বলে, রবিবার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল। এরপর সোমবার নির্ধারিত কর্মসূচি বাতিল করে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব।
শুধুমাত্র হুঙ্কার। আর তাতেই গুটিয়ে গেল এক সময়ে বীরভূমে দোর্দণ্ডপ্রতাপ সিপিএম। মিছিল বের করার সাহস পর্যন্ত দেখাতে পারল না তারা। রবিবার সাঁইথিয়ায় তৃণমূলের সভা থেকে সিপিএমকে হুমকি দিয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। প্রথমে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব সাফাই দেয় পুলিশ অনুমতি না দেওয়ায় মিছিল করা যায়নি। তার জবাবে জেলা পুলিশ সুপার নীলকান্ত সুধীরকুমারের প্রশ্ন, মিছিলের করবে বলে সিপিএমের কোনও আবেদন করেছে কিনা। এরপর নিজেদের মুখ বাঁচাতে জেলা সিপিএম নেতৃত্ব জানায় থানায় থানায় আবেদন পত্র দিতে গেলেও, ওসিরা আবেদন পত্র নেননি। মিছিল করলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হবে, এর জেরেই পুলিশ অনুমতি দেয়নি, আর সেই জন্যই মিছিল করা হয়নি বলে সাফাই দিয়েছেন বীরভূম জেলার সিপিএম সম্পাদক।
অন্যদিকে, মিছিল বাতিল হওয়ায় সিপিএম-এর নিচুতলায় ছড়িয়েছে ক্ষোভ। অনুব্রত মণ্ডলকে জবাব দেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া করলেন জেলার নেতারা। রাস্তায় সাহস দেখানোর বদলে আরও যেন গর্তে ঢুকে পড়লেন নেতারা। এমনটাই অভিযোগ করেছেন নিচুতলার নেতাকর্মীরা।
তবে সিপিএম-এর পালিয়ে যাওয়ার মনোভাবে বিপরীত দিকে চাঙ্গা তৃণমূল। বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতাদের দাবি, কেষ্ট মণ্ডলের চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মতো কোনও দলের কোনও নেতা নেই এই জেলায়। দলে চারখানা লোক নেই বলে কটাক্ষ করেছেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও। আর যাঁরা আছেন, তাঁরাও তাঁরই দয়ায় বেঁচে আছেন বলে জানিয়েছেন বীরভূমের কেষ্ট মণ্ডল।