সভা ডেকে গুরুংকে পাল্টা ‘চ্যালেঞ্জ’ তামাংয়ের, বনধ উঠবে জনতার রায়ে
মঙ্গলবার বিমল গুরুংয়ের বার্তা খণ্ডন করেছেন কলকাতায়। এবার পাহাড়ে ফিরে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন গুরুংকে। বুঝিয়ে দিলেন এই মুহূর্তে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মুখ তিনিই।
যতই অডি ক্লিপিংয়ে হুমকি-বার্তা পাঠান বিমল গুরুং, পাহাড়ে পোস্টার সাঁটুন, 'ডোন্ট কেয়ার' বিনয় তামাং। কলকাতা থেকে দার্জিলিংয়ে ফিরেই পাহাড়ের অচলাবস্থা কাটাতে ময়দানে নেমে পড়লেন তিনি। পাহাড়বাসীকে নবান্নে বৈঠকের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিতে ডাকলেন জনসভা।
[আরও পড়ন:রাজ্যের কাছে হার মানতে পারছেন না গুরুং, পাহাড়ে পোস্টারে হারের জ্বালা]
এই সভায় পাহাড়বাসীর মত নিয়েই মোর্চা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বনধ প্রত্যাহারের ব্যাপারে। সেইসঙ্গে মোর্চা সুপ্রিমোকেও তিনি বার্তা দিতে চাইলেন, তিনি তাঁর অবস্থান অটুট। মঙ্গলবার বিমল গুরুংয়ের বার্তা খণ্ডন করেছেন কলকাতায়। এবার পাহাড়ে ফিরে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন গুরুংকে। বুঝিয়ে দিলেন এই মুহূর্তে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মুখ তিনিই।
বৃহস্পতিবার কার্শিয়াংয়ে জনসভা ডেকে তাই এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চাইছেন বিনয় তামাং। মোর্চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্দেশে কার্শিয়াংয়ের নেতা অনীশ থাপা এই জনসভার আয়োজন করেছেন। এই জনসভা থেকেই মোর্চা জনতার মত নিয়ে পাকাপাকি সমাধান সূত্র বের করতে চাইছে। বুধবার বিনয় তামাং জানান, ইতিমধ্যে আমরা মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংকে এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্যদের বিস্তারিত জানিয়েছি নবান্নের বৈঠকের ব্যাপারে। এবার সভা ডেকে পাহাড়বাসীকে জানাব।
এদিন কলকাতা থেকে ফিরে বিনয় তামাং জানান, নবান্নের পাহাড়় বৈঠক থেকে তাঁরা কী পেলেন, পাহাড়বাসীর জন্য তা কতটা আশাব্যাঞ্জক হতে পারে তা তিনি বলবেন জনসভাতেই। এদিনও তিনি পাহাড় বনধ শিথিল করার ব্যাপারে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিয়েছেন। পাহাড়ের পর্যটন, পাহাড়ের অর্থনীতি, সর্বোপরি পাহাড়ের মানুষের অসুবিধার কথা সবার আগে বিবেচ্য হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যে তিনি বুঝে গিয়েছেন, পাহাড়ের মানুষ আর বনধের বন্দি জীবনে কাটাতে চাইছেন না। তাঁরা মুক্তির স্বাদ পেতে বদ্ধপরিকর। আর পাহাড়ের এই অচলাবস্থা না কাটালে পাহাড়ে মোর্চার অবস্থা আরও করুণ হবে। পাহাড়ে মোর্চা জনসমর্থন হারাচ্ছে। তাই মোর্চার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতেই বনধ প্রত্যাহার জরুরি বলে মনে করছে রাজনৈতির মহলও।