রুট বদলে নবান্নে বিনয়-অনীত, মমতার সঙ্গে গোপন-বৈঠকে কি নয়া সমীকরণ
রাজনৈতিক মহলে এখন জোর আলোচনা কেন মোর্চার দুই বিদ্রোহী নেতা গোপনে নবান্নে এলেন। তাহলে কি এর মধ্যে রয়েছে অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ?
পুজোর আগেই দিল্লি দরবারের ডাক দিয়েছিলেন বিনয় তামাং-অনীত থাপা। কিন্তু তাঁরা যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসছেন, ঘুণাক্ষরেও তা জানাননি। মোর্চার বিদ্রোহী নেতারা সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। এদিন বিনয় তামাং ও অনীত থাপাকে পাশে নিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চা বাগান খোলার আহ্বান জানান তিনি। চা বাগান না খুললে অন্য ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
রাজনৈতিক মহলে এখন জোর আলোচনা কেন মোর্চার দুই বিদ্রোহী নেতা গোপনে নবান্নে এলেন। তাহলে কি এর মধ্যে রয়েছে অন্য কোনও রাজনৈতিক সমীকরণ? বিনয় তামাং-অনীত থাপারা রবিবারই জানিয়েছিলেন চা বাগান খুলতে আন্দোলন নামবেন তাঁরা। প্রতি চা বাগানেই গেট মিটিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাঁরা।
এরই মধ্যে নবান্নে এসে চা বাগান খোলা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন। অবিলম্বে চা বাগান খোলার আহ্বান জানালেন। এছাড়া পাহাড় নিয়েও আলোচনা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। আর পাহাড় নিয়ে যখন আলোচনা, তখন পাহাড়ের পাল্টে যাওয়া রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে আলোচনা হবে বলাই বাহুল্য।
এখন বিনয় তামাং-অনীত থাপাদের নবান্নে আগমনে একটা ব্যাপার পরিষ্কার যে, এবার পাহাড়ের রাজনীতি আবর্ত হতে চলেছে তাঁদের মুখ করেই। আর কোনওভাবেই যে বিমল গুরুং-রোশন গিরিদের এন্ট্রি নেই পাহাড় রাজনীতিতে তা ক্রমশই প্রকট হয়ে উঠছে। এমনিতেই পাহাড় ছেড়ে এই মুহূর্তে অজ্ঞাতবাসে গুরুং। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। তাই তিনি আর পাহাড়ে ফিরতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় থেকে যাচ্ছে।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, চা-বাগান খোলা নিয়ে পাহাড়ে ফের বৈঠক বসবে রাজ্য প্রশাসন। ২১ সেপ্টেম্বর পাহাড়ে বৈঠক। তার আগে সমস্ত চা বাগান খোলার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, পাহাড়ে এখন অনেকটাই স্বাভাবিক। এদিন কার্শিয়াংয়ের ক্যাসেলটন ও জাংপানা চা বাগান খুলেছে। সাধারণ মানুষ এখন রাস্তায় বের হতে শুরু করেছেন। খুলেছে অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, দোকান-বাজারও। তাই পুজোর আগেই পাহাড়ে স্বাভাবিক ছন্দ ফিরে আসছে। একেবারে স্বাভাবিক আর কিছুদিন সময় লাগবে।