পাহাড় রাজনীতিতে রাতারাতি পট পরিবর্তন, মোর্চা ছেড়ে কোন পথে বিনয় তামাং
পাহাড়ের রাজনীতিতে রাতারাতি পট পরিবর্তন ঘটেছে। বিনয় তামাংয়ের পদত্যাগের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে কাটতেই পাহাড় রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হয়ে গেল। বিনয় তামাং শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা দল বেঁধে যোগ দিলেন গুরুং-শিবিরে।
পাহাড়ের রাজনীতিতে রাতারাতি পট পরিবর্তন ঘটেছে। বিনয় তামাংয়ের পদত্যাগের পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে কাটতেই পাহাড় রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হয়ে গেল। বিনয় তামাং শিবিরের কর্মী-সমর্থকরা দল বেঁধে যোগ দিলেন গুরুং-শিবিরে। পাতালেবাসে গিয়ে গুরুংয়ের হাতে তাঁরা পতাকা তুলে দিতেই প্রশ্ন বিনয় তামাংয়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যই কী হবে।
বিমল গুরুংকে পেয়ে বিনয় তামাং গোষ্ঠীর নেতা-কর্মী-সমর্থকরা বলেন, আমরা আমাদের আসল সভাপতিরে পেয়ে গিয়েছি। এই পরিস্থিতিতে ফের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সংগঠন ফের বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ হতে চলেছে। তাহলে বিনয় তামাং কী করবেন? তিনি কি অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে ভিড়ছেন?
তাঁর জন্য দুটি পথ খোলা রয়েছে। তিনি তৃণমূলের সমর্থনে এতদিন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা চালাচ্ছিলেন। এবার তিনি সরাসরি যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে। তা না হলে বিমল গুরুং আবার তৃণমূলকে সমর্থনের বার্তা দেওয়ায় বিনয় তামাং যোগ দিতে পারেন বিজেপিতে। ভবিষ্যৎই বলবে বিনয় তামাং কোন পথে পা বাড়ান।
বিনয় তামাং আদৌ সন্তুষ্ট ছিলেন না তৃণমূল-গুরুং সখ্যতায়। বিমল গুরুংকে যেভাবে সহায়তা করছিল তৃণমূল তাতে বিনয় তামাং সন্তুষ্ট ছিলেন না। গুরুং পাহাড় থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর বিনয় তামাং তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু গুরুং পাহাড়ে ফিরতে তৃণমূল তাঁকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন, বিনয় তামাংকে গুরুত্ব দেয়নি, সেটাও তিনি ভালো চোখে দেখেননি।
এদিকে জন বার্লা উত্তরবঙ্গ ভাগের জল্পনা উসকে দিতে অনেকের না বলা কথা বলে দিয়েছেন। তারপর সেই জন বার্লাকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। তারপর গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সরব ছিলেন যাঁরা তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হয়েছে। বিমল গুরুং যখন বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, তখন বিনয় তামাংয়ের গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাত্যাগ তাৎপর্যপূর্ণ।