বিশ্বস্ত সঙ্গী এখন ‘বিশ্বাসঘাতক’! তামাংকে বহিষ্কারের ইঙ্গিত মোর্চা প্রধান গুরুংয়ের
বনধ বিতর্কে ফাটল ধরেছে মোর্চায়। একসময়ের বিশ্বস্ত সঙ্গী এখন পরিণত হয়েছে ঘোর শত্রুতে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধ মেনে পাহাড় বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতেই বিনয় তামাংয়ের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং।
গুরুং আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছিলেন। তা সত্ত্বেও গুরুংকে উপেক্ষা করে মোর্চার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিনয় তামাং বনধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। গুরুংয়ের সমর্থকরা তাই বিনয় তামাংয়ের গায়ে বিশ্বাসঘাতক তকমা লাগিয়ে দিয়েছেন ইতিমধ্যে। শুধু বিনয় তামাং নন, নবান্নের পাহাড়-বৈঠকে যোগ দেওয়া তামাং-সঙ্গীরাও এখন গুরুংয়ের রোষানলে।

কয়েকদিন আগে গুরুংয়ের অবর্তমানে দলের মুখ হিসেবে বিনয় তামাংকে তুলে ধরার পর মোর্চা-সদস্যরা তাঁকে ঘিরে থাকতেন। কিন্তু পাহাড় বন্ধ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর থেকে আর তাঁদের পাশে দেখা যাচ্ছে না। এই ছবি স্পষ্ট করছে, অন্তরালে থাকলেও দলের রাশ এখনও বিমল গুরুংয়ের হাতেই।
বিমল গুরুং এক বার্তায় জানিয়েছেন, 'বিশ্বাসঘাতকদের কোনও স্থান নেই দলে। বিনয় তামাং দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, আবার বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন পাহাড়ের মানুষের সঙ্গেও। মুখ্যমন্ত্রীর ইশারায় তামাং বনধ প্রত্যাহার করেছেন। পাহাড়ের মানুষ তাঁকে ক্ষমা করবে না।'
তবে যাই হোক, পাহাড়ে যে ক্ষমতার টানাপোড়েন শুরু হয়েছে, পাহাড়বাসী মনে করছেন, এই ঘটনা শেষের শুরু মোর্চার। ঠিক একই রকম ভাবেই সুভাষ ঘিসিংয়ের শাসনের অবসান হয়েছিল পাহাড়ে। যেভাবে ঘিসিং পাহাড় ছাড়া হয়েছিলেন, অনেকটা সেভাবেই এখন গুরুং অন্তরালে। পরিস্থিতি কিন্তু সেই পরিসমাপ্তীর ইঙ্গিত দিচ্ছে এখন থেকেই।