কংগ্রেসকে চাপে ফেলে আব্বাসকে আমন্ত্রণ বামের, মহাজোটের রফাসূত্র বাতলে দিলেন বিমান
আব্বাস সিদ্দিকির ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টকে জোটসঙ্গী করতে মরিয়া বামেরা। এবার জোটের নয়া রফাসূত্র বের করে আব্বাসকে চিঠি লিখলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তিনি চান, বাম-কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনায় বসুন আব্বাস সিদ্দিকি। সেই কারণেই রফাসূত্রের দিশা দেখিয়ে ১৬ ফেব্রুয়ারি ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নেতৃত্বকে বৈঠকে আগ্বান জানিয়ে চিঠি লিখলেন বিমান।


তিন পক্ষকে একসঙ্গে বসার আহ্বান
এর আগে আব্বাস সিদ্দিকি চিঠি লিখেছিলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্বকে। তার জবাবে বিমান বসু জানান, আমরা চাই ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফের সঙ্গে বোঝাপড়া হোক। সেই বোঝাপড়ায় সামিল হোক কংগ্রেসও। বামফ্রন্ট মনে করে, তিন পক্ষ একসঙ্গে না বসলে সমাধান সূত্র বের হবে না। এর আগে সিপিএমের উদ্যোগেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীকে বার্তা পাঠিয়েছিলেন আব্বাস।

আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গে জোট করা জরুরি
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এই জোটের গুরুত্ব বুঝিয়ে হাইকম্যান্ডকে চিঠি লিখেছিলেন। তিনি সোনিয়া গান্ধীর কাছে বার্তা পাঠান, বাংলায় পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির দলের সঙ্গে জোট করা জরুরি। তিনি একপ্রকার স্পষ্ট করে দেন প্রদেশ কংগ্রেসের জোটের ব্যাপারে কোনও আপত্তি নেই। যত গোল আসন রফা নিয়ে।

যেখানে তুরুপের তাস হতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকি
এখন কোন অঙ্কে রফা হবে, তা নিয়েই সমস্যা বিস্তর। সিপিএম নেতৃত্ব মনে করে মুর্শিদাবাদ, মানদহ, দুই দিনাজপুর, দত্রিণ ২৪ পরগনা ও উত্তর ২৪ পরগনার কিয়দংশে তুরুপের তাস হতে পারেন আব্বাস সিদ্দিকি। রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট বেশি এই জেলাগুলিতে। সিদ্দিকি বেশি আসন চাইছেন এখানে। আবার কংগ্রেসের প্রভাবও এইসব জেলায় প্রশ্নাতীত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

২:১ ফর্মুলায় আমরা সমঝোতায় রাজি, বললেন বিমান
এই পরিস্থিতিতে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু নয়া রফা সূত্র দিয়েছেন। আব্বাস ৪৪টি আসন চেয়েছেন। সেই শর্ত মানতে বামফ্রন্ট রাজি। বামেরা জানিয়েছেন, কংগ্রেস যদি ১৫টি আসন ছাড়তে রাজি হয়, আমরা ৩০টি আসন ছাড়ব। আলোচনায় আসুন। ২:১ ফর্মুলায় আমরা সমঝোতায় রাজি। এক্ষেত্রে শুধু কংগ্রেসের নমনীয়তা বাঞ্ছনীয়।

সংখ্যালঘু ভোট ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে একুশে
এখন দেখায় ১৬ ফেব্রুয়ারি বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ নেতৃত্বের মধ্যে কোনও জোট আলোচনা হয় কি না। এবং সেই আলোচনা থেকে চূড়ান্ত রফাসূত্র বের হয় কি না। রফাসূত্র মিললে এক পক্ষ মনে করছে সংখ্যালঘু ভোট ফ্যাক্টর হয়ে উঠবে। আবার আর এক পক্ষ মনে করছে, বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফের শক্তি যেহেতু একই জেলায়, সেহেতু কতখানি ফলপ্রসূ হবে জোট, তা নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।