এবার কি তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট, আগেকার বিজেপি বিরোধী জোটের উদাহরণ দিয়ে কৌশলী বার্তা বিমানের
এবার কি তাহলে তৃণমূলের সঙ্গে জোট, বিজেপি বিরোধী জোটের উদাহরণ দিয়ে 'শর্ত' বিমানের
বিজেপি (bjp) বিরোধী যে কোনও দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত বামেরা (left)। এমনটাই মন্তব্য করেছেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান (left front chairman) বিমান বসু (biman bose)। এব্যাপারে তাঁর মুখ দিয়ে তৃণমূলের (trinamool congress) নাম উল্লেখ করাতে পারেননি তমলুকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিকরা।
তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে বিমান বসু
তমলুকে সিপিএম নেতা নির্মল জানার স্মরণসভার পরে বিমান বসুকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এটা বহুবার ঘটেছে, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, কচ্ছ থেকে কোহিমা পর্যন্ত কোনও আন্দোলন সংগ্রামের প্রশ্ন দেখা দিলে বিজেপি বিরোধী যে কারও সঙ্গে তারা (বামেরা) একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত। সাংবাদিকরা ফের তাঁকে প্রশ্ন করেন, সেখানে তৃণমূল থাকলে কি কোনও অসুবিধা হবে না? উত্তরে বিমান বসু বলেন, তিনি তো বলছেনই, যএ বিজেপি বিরোধী যে কোনও দলের সঙ্গে তারা কাজ করতে প্রস্তুত। পাল্টা তিনি প্রশ্ন করেন, এর পরে আর কি কোনও কথা থাকতে পারে?
জোট ভাঙবে না বামেরা
২০২১-এর নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বামেরা কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করে নির্বাচনে লড়াই করেছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে ভোটের পরে যৌথ কর্মসূচি নিয়ে ময়দানে নামতে দেখা যায়নি। এব্যাপারে বিমান বসু দলের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, সিপিএম তথা বামেরা রাজ্যে কারও সঙ্গে জোট ছিন্ন করছে না। কিন্তু অন্যরা যদি সম্পর্ক ছিন্ন করে, তাহলে তাদের করার কিছু নেই।
রাজ্যের তৃণমূল নিয়ে কোনও বার্তা দেননি বিমান
তবে এটা স্পষ্ট করা ভাল যে বিমান বসু এই রাজ্যে কিংবা ত্রিপুরায় লড়াইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূলের সঙ্গে থাকা নিয়ে কোনও কথা বলেননি। বারবারই তিনি সর্বভারতীয় ক্ষেত্রের কথা উল্লেখ করেছেন। এব্যাপারে সর্বভারতীয় কথাটাই তাঁর কথার শর্ত হিসেবে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সেটা আদৌ পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কিনা তা তিনি স্পষ্ট করেননি। অন্যদিকে ত্রিপুরায় যেমন তৃণমূল ক্ষমতায় জন্য প্রশান্ত কিশোরের সংস্থাকে নিয়ে ঝাঁপিয়েছে, সেখানে এখনও প্রধান বিরোধী শক্তি হল সিপিএম।
সাম্প্রতিক সময়ে মমতার সিপিএম বিরোধী কথা বলেননি
তৃণমূলের তরফে সর্বশেষ সব থেকে বড় কর্মসূচি ছিল ২১ জুলাই। সেদিনের ভার্চুয়াল মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বাম তথা সিপিএম-এর বিরুদ্ধে কোনও কথা বলেননি। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শোনা গিয়েছিল, বিধানসভায় সিপিএম থাকলে ভাল হত। অন্যদিকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছিলেন, নির্বাচনে শূন্য পেলেও গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকিয়ে রাখতে বিধান পরিষদের সিপিএম-এর থাকা প্রয়োজন। রবিবার বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডল বলেছেন, ৩৪ বছর একটা দল এই রাজ্যে শাসন করেছে। তারা এত মিথ্যা কথা বলত না। মানুষকে বামেরা ঠকাত না বলেও মন্তব্য করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।