
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান হিসেবে কার্যকাল শেষ হচ্ছে বিমানের! নতুন নাম নিয়ে জল্পনা
বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান হিসেবে কার্যকাল শেষ হচ্ছে বিমানের! নতুন নাম নিয়ে জল্পনা সিপিএম তথা বামফ্রন্টে কি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসতে চলেছে। হঠাৎই এমন আলোচনা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। সিপিএমেরর রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী থেকে প্রবীণ ৬ নেতা বিদায় নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বামফ্রন্টেও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে। টানা ২৫ বছর বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান থাকার পর বিমান বসু বিদায় জানাতে পারেন সেই পদকে।

বামফ্রন্ট নেতৃত্বেও নতুন মুখ আসার সম্ভাবনা
বিমান বসু সিপিএম বা বামফ্রন্টে পরামর্শদাতা হিসেবে থাকতে পারেন। তবে তিনি যে আর ওই পদে থাকছেন না, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সিপিএম যেমন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে আনতে পারেন নবীন প্রজন্মের নেতাদের, তেমনই বামফ্রন্ট নেতৃত্বেও নতুন মুখ আসতে চলেছে।

বিমান বসু সরতে চলেছেন অবশেষে!
বয়সের ভারে বিমান বসু সরতে চলেছেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর পদ থেকে। একই কারণে সরতে পারেন সূর্যকান্ত মিশ্র, রবীন দেব, মৃদুল দে, মিনতি ঘোষ, এমনকী অশোক ভট্টাচার্যও। ফলে সিপিএমে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসন্ন প্রায়। সিপিএমের রাজ্য সম্মেলন রয়েছে মার্চের শেষে। এপ্রিলে হবে পার্টি কংগ্রেস। তারপর নতুন রাজ্য কমিটি গঠনেই উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসতে পারে।

সিপিএমের রাজ্য কমিটি ও ফ্রন্ট-নেতৃত্ব নয়া মুখ!
সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে এবার নতুন মুখ দেখা যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। এখন দেখার প্রবীণদের জায়গায় নবীন কারা আসছেন রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীতে। কিন্তু সেই আলোচনাকে ছাপিয়ে এখন বড় হয়ে উঠেছে বিমান বসুর মতো নেতার সরে যাওয়া বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের পদ থেকে। তিনি দীর্ঘ ২৫ বছর ওই পদ অলঙ্কৃত করে আছেন। তাঁর সরে যাওয়ার জল্পনার মধ্যে কে স্থলাভিষিক্ত হবেন তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

বামপন্থী রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিমানের
১৯৯৭ সাল থেকে তিনি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান পদে রয়েছে। শৈলেন দাশগুপ্ত প্রয়াত হওয়ার পর বিমান বসু বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের গুরুদায়িত্ব সামলে চলেছেন। বামফ্রন্ট গঠনের পর এতদিন একটা পদে থাকতে দেখা যায়নি কাউকেই। বামপন্থী রাজনীতিতে তিনি এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছেন এতদিন। সেইসঙ্গে তিনি ২০০৬ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকের পদও অলঙ্কৃত করেছিলেন তিনি।

বিমান বসুর স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন কে
২০১৫ সালে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক পদে বসেন সূর্যকান্ত মিশ্র। তারপর ফের বামফ্রন্ট চেয়ারম্যানের একক দায়িত্বে চয়ে যান বিমান বসু। এখন বিমান বসু বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান পদ ছাড়লে, সেই পদে আসার সম্ভাবনা বেশি সূর্যকান্ত মিশ্রেরই। অন্তত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা তাঁকেই এগিয়ে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ ওই পদের জন্য।

সূর্যকান্ত মিশ্রকে যোগ্য ব্যক্তি মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা
সূর্যকান্ত মিশ্রের মতো অভিজ্ঞ নেতা এই মুহূর্তে কমই রয়েছেন সিপিএমে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান পদে এমন একজনকে চাই, যিনি শরিকদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন। রাজ্য বিধানসবার বিরোধী দলনেতা হিসেবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তার আগে দীর্ঘদিন মন্ত্রিত্ব সামলেছেন। আর সবশেষে তিনি পার্টির রাজ্য সম্পাদক। ফলে তাঁর মতো যোগ্য ব্যক্তি এই মূহূর্তে নেই সিপিএমে।