পাহাড় কার? তা প্রমাণে মুখোমুখি বিনয় তামাং এবং বিমল গুরুং
আগামী বছরের ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে পাহাড় দখলে মরিয়া দুই শিবির। পাহাড় কার? তা প্রমাণে মুখোমুখি বিনয় তামাং বনাম বিমল গুরুং।

রবিবার সোনাদা থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত পদযাত্রার ডাক দিয়েছে বিনয়পন্থী মোর্চা। যার নেতৃত্বে থাকবেন অনীত থাপা। অন্যদিকে, পাল্টা রবিবার কার্শিয়ংয়ে জনসভার ডাক দিয়েছে বিমল গুরুং। এই দুইয়ের লড়াইয়ে ফায়দা তুলতে মরিয়া পদ্ম শিবির। বিমলপন্থী মোর্চা হাতছাড়া হওয়ায় এবারে পাহাড়ে তিন আসন জিততে মরিয়া গেরুয়া শিবির হাত মিলিয়েছে জিএনএলএফ, এবিজিএল, সিপিআরএম সহ ৫ আঞ্চলিক দলের সঙ্গে। পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান এবং ১১টি জনজাতি গোষ্ঠীকে তফসিলি উপজাতির তকমা দেওয়ার বিষয়ে দিল্লিতে অমিত শাহে'র সঙ্গে বৈঠক করেন পাঁচ আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিরা।
বৈঠকে খুশী জিএনএলএফ প্রধান মন ঘিসিং দিল্লি থেকে ফিরে সাফ জানান, একুশের নির্বাচনের আগে কেন্দ্র স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের ইস্যুতে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবে। অমিত শাহ তেমনই আশ্বাস দিয়েছেন।
অন্যদিকে, একে কটাক্ষ করে বিমলপন্থী মোর্চার সাধারন সম্পাদক রোশন গিরি জানান, এই ধরনের একাধীক বৈঠক হয়েছে। বিজেপি স্রেফ ধোঁকা দিয়েছে। গোর্খাদের জন্য কিছুই ভাবেনি। শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এবিষয়ে পাহাড়বাসীর পাশাপাশি আঞ্চলিক দলগুলোকেও বিজেপি থেকে সতর্ক এবং সাবধান থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
এনিয়ে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব জানান, বিজেপি ভোটের রাজনীতি করছে। পাহাড়ে এরকম ১২৩টি আঞ্চলিক দল রয়েছে। তবে বিমল এবং বিনয়পন্থীদের বিরোধ নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া কিছু মতবিরোধ থাকলেও পাহাড়ের উন্নয়নে দুই শিবিরই তাদের পাশে। সবমিলিয়ে পাহাড়ের রাজনৈতিক উত্তাপ ক্রমেই বাড়ছে।