‘রণংদেহি’ পাহাড়ে শান্তির মিছিল শেষে প্রত্যাঘাতের হুমকি গুরুংয়ের
আন্দোলনের পথ থেকে সরবে না গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। তাঁদের আন্দোলনে বাধা দিলে তাঁরা প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত বলে হুমকি মোর্চা সুপ্রিমোর।
শনিবারের পাহাড় ছিল রণংদেহি মেজাজে। তুলনায় রবিবার আপাত শান্ত, থমথমে পাহাড়। পাহাড় আন্দোলনে নিহত চার মোর্চা সমর্থকের মৃতদেহ নিয়ে এদিন মিছিল করে মোর্চা নেতৃত্ব। প্রায় ১০ হাজার সমর্থক নিয়ে এই মিছিল শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে এই মিছিলের পরই মোর্চা সুপ্রিমো হুঁশিয়ারি দেন, 'আমাদের আন্দোলন চলবে। মিছিল থামালেই আমরা সমস্যার সৃষ্টি করব।'
দার্জিলিংয়ের চকবাজারে জমায়েতের পর নিহত চার মোর্চা কর্মীকে নিয়ে মিছিল করে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এই মিছিল সামাল দিতে প্রচুর সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। আশঙ্কা ছিল মোর্চার এই মিছিল থেকে এদিন ফের অশান্তি শুরু হতে পারে। সে কারণেই পুলিশের তরফে সবরকম প্রস্তুতি নেওয়া ছিল।
কিন্তু মোর্চা এদিন শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করে। মৌন মিছিল করে নিহত কর্মীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। কালো পতাকা নিয়ে এদিন মিছিল করে মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা। মিছিলের শেষে বিমল গুরুং ফের হুমকি দেন। জানান, তাঁরা আন্দোলনের পথ থেকে সরবেন না। তাঁদের আন্দোলনে বাধা দিলে তাঁরা প্রত্যাঘাত করতে প্রস্তুত।
পাহাড়ের আন্দোলন আরও জোরদার করার হুমকির পাশাপাশি মোর্চা প্রধান এদিন মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গি-তত্ত্বও খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি জানান, তাঁদের এই আন্দোলনে কোনও জঙ্গি-যোগ নেই। এই লড়াই তাঁদের নিজস্ব। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে তাঁদের এই লড়াই তাঁরা নিজেরাই লড়ছেন। নিজেরাই এই লড়াই লড়ে যাবেন। দাবি না মেটা পর্যন্ত আন্দোলন চলতেই থাকবে।