কেন জিটিএ ছাড়ার হুমকি মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের? শুনলে অবাক হবেন
ক্রমশই পাহাড়ের বুকে জাঁকিয়ে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার পাহাড়ে গিয়ে দার্জিলিংবাসীর মনজয় করে নিচ্ছেন তিনি। একচ্ছত্র আধিপত্যে ভাগ বসাতেই হুমকির পথে মোর্চা।
মমতার মাস্টারস্ট্রোকে বেসামাল মোর্চা সভাপতি বিমল গুরুং এবার জিটিএ ছাড়ার হুমকি দিলেন। সেইসঙ্গে ফের উত্থাপন করলেন পুরনো গোর্খাল্যান্ড ইস্যু। গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে জঙ্গি আন্দোলন গড়ে তোলার ডাকও দিয়ে রাখলেন তিনি। খুব শ্রীঘ্রই জিটিএ ছেড়ে তিনি ও তাঁর দলবল পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ড রাজনীতিতে ফিরবেন বলে বাংলার মুখমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মঙ্গলবার পরোক্ষে হুঁশিয়ারিই দিলেন তিনি।
বর্তমানে মুখ্যমন্ত্রী দার্জিলিংয়েই রয়েছেন। তিনি দার্জিলিংয়ে পা রাখার পর থেকেই ফের সরগরম পাহাড়-রাজনীতি। দীর্ঘ তিন দশক পর পাহাড়ে কোনও প্রথম সারির রাজনৈতিক দল ভোট যুদ্ধে জয়লাভ করেছে। তৃণমূলের মিরিক জয়ের পরই পাহাড়ের রাজনীতি বইতে শুরু করেছে অন্য খাতে। শুধু মিরিক দখলই নয়, পাহাড়ের অন্য পুরসভাগুলিতেও নিজেদের প্রতিনিধি পাঠাতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল।
এই অবস্থায় সোমবার মিরিকের উন্নয়নে ঢালাও বরাদ্দ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লেক সংস্কার থেকে শুরু করে রাস্তা ও পর্যটনে বিশাল অঙ্কের টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। তারপর পাট্টা বিলি করে মিরিকবাসীর মন জয়ের কাজও তিনি এগিয়ে রেখেছেন। সেইসঙ্গে পাহাড়ে উন্নয়নের স্বার্থে জিটিএ নির্বাচনেও তৃণমূলকে জয়ী করার আহ্বান জানিয়েছেন মমতা। মোর্চার নাম না করেই বলেছেন জিটিএ-তে উন্নয়ন খাতে ৩১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ সত্ত্বেও কোনও কাজ হয়নি।
এহেন পরিস্থিতিতে ক্রমশই পাহাড়ের বুকে জাঁকিয়ে বসছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় আসার পর থেকে বারবার পাহাড়ে গিয়ে দার্জিলিংবাসীর মনজয় করে নিয়েছেন তিনি। তাই মোর্চার একচ্ছত্র আধিপত্যে ভাগ বসাতে শুরু করেছে তৃণমূল। এবার মুখ্যমন্ত্রী জিটিএ দখলের আওয়াজ তুলতেই তাই ভিত নড়ে যাওয়ার উপক্রম মোর্চার।
অমনি পাল্টা চাল দিতে জিটিএ ছাড়ার হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি। সেইসঙ্গে পুরনো পথে ফিরে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরুর হুঁশিয়ারিও তাঁর মুখে। মোট কথা মমতার প্রতিরোধের মুখে পড়ে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং ফের বেসুরো গাইতে শুরু করেছেন।