কোন পথে আন্দোলন মোর্চার, চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করতে বৈঠকে বিমল গুরুং
পাহাড়ে যে আন্দোলনের সূচনা ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে, সেখান থেকে একেবারে পিছু হটতে চাইছে না মোর্চা। তারা আন্দোলন জারি রাখতে বদ্ধপরিকর।
পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলন কোন পথে? তা ঠিক করতেই শনিবার স্ট্র্যাটেজি বৈঠকে বসছেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। সিংমারিতে নিজের বাড়িতে মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে তিনি একটা সিদ্ধান্তে পৌঁছতে চাইছেন। এই আন্দোলন কোন পথে জারি রাখা হবে? কীভাবেই বা হবে এই আন্দোলন? সেইসঙ্গে কোন ইস্যুতে এই আন্দোলন চলবে তা নিয়েই চূড়ান্ত রূপরেখা তৈরি করাই লক্ষ্য মোর্চা নেতৃত্বের।
আসলে যে আন্দোলনের সূচনা ইতিমধ্যে হয়ে গিয়েছে, সেখান থেকে একেবারে পিছু হটতে চাইছে না মোর্চা। তারা আন্দোলন জারি রাখতে বদ্ধপরিকর। সেইসঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর প্রশাসন কড়া হাতে পাহাড়ে মোর্চার আন্দোলন দমনে নেমেছে। এমন পরিস্থিতিতে যে কোনও সময় গ্রেফতার হতে পারেন মোর্চা নেতারা। এমনকী মোর্চার শীর্ষ নেতৃত্বেরও গ্রেফতারের সম্ভাবনা রয়েছে।
সেদিক বিচার করেই আপাতত জঙ্গি আন্দোলনের পথে থেকে সরে আসাই শ্রেয় মনে করছেন বিমল গুরুঙ্গরা। জঙ্গি আন্দোলন পথে থেকে সরে এসে গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন জারি রাখা হবে। তাহলে সব দিক বজায় রাখা যাবে বলে মনে করছে নেতৃত্ব।এদিন বৈঠকে এই প্রসঙ্গেই আলোচনা হতে পারে। তারপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
কিন্তু কেন বিমল গুরুঙ্গ জঙ্গি আন্দোলনের পথ থেকে সরে এলেন?
এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিমল গুরুং বুঝে গিয়েছেন তাঁর একাধিপতের দিন শেষ হয়েছে। পাহাড়ে জনসমর্থন কমতে বসেছে মোর্চার। এখন জঙ্গি আন্দোলন চালিয়ে গেলে জনসমর্থন যদি আরও কমে যায়, তাহলে বিপত্তি। সামনেই জিটিএ নির্বাচন। দিনের পর দিন পাহাড়ে বনধ চালালে তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া পড়তে বাধ্য। আর সেটা একেবারেই চাইছেন না গুরুং। তাই মোর্চা নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে আন্দোলনের নয়া রূপরেখা তৈরি করে ফেলতে চাইছেন তিনি।