এবার ভিডিও বার্তা পাঠালেন গুরুং, প্রশাসন ও বিদ্রোহীদের জন্য কী হুঁশিয়ারি তাঁর
এখন সিকিম পুলিশের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে বিমল গুরুং হুঙ্কার ছাড়ছেন। তবে তাঁর ভিডিও বার্তায় আর আগের মতো ঝাঁঝ নেই।
কথায় আছে, ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে। তেমনই মোর্চা প্রধান বিমল গুরুং পুলিশের তাড়া খেয়ে সিকিম পালিয়ে গিয়েও হুঙ্কার ছেড়ে চলেছেন। আগে অডিও বার্তায় হুমকি দিয়েছিলেন। এবার সিকিম থেকে ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। সেই ভিডিও-তে তাঁর হুঙ্কার, 'পাহাড়ে এখন থেকে শুধু সংঘর্ষ হবে। প্রশাসনের ক্ষমতা নেই সেই সংঘর্ষ রোখার।'
গোয়েন্দাদের কাছে খবরটা আগে থেকেই ছিল যে, বিমল গুরুং সিকিমেই রয়েছেন। সেই কারণে ফের সিকিমের নামচিতে অভিযান চালাতে চাইছে পুলিশ। কিন্তু এখন সিকিম সরকার রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করবে না নিশ্চিত। তাই রাজ্য পুলিশ চাইলেও সিকিমে অভিযান চালাতে পারছে না।
এখন সিকিম পুলিশের নিরাপদ আশ্রয়ে থেকে বিমল গুরুং হুঙ্কার ছাড়ছেন। তবে তাঁর ভিডিও বার্তায় আর আগের মতো ঝাঁঝ নেই। বরং অনেকটা মুচড়ে পড়ার ছাপ রয়েছে ভিডিও বার্তায়। বিমল গুরুং এখন অনেকটাই একা হয়ে গিয়েছেন। সে কথা তাঁর ভিডিও বার্তাতেও উঠে এসেছে। তিনি বলেছেন, গোর্খাদের জন্য তিনি একাই লড়বেন। সবাই যদি চলেও যান, তিনি গোর্খাল্যান্ডের জন্য লড়াই চালিয়ে যাবেন।
সিকিমে লুকিয়ে থেকেই তিনি একাকী এখন পাহাড় শাসন করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কখনও অডিও বার্তায়, কখনও ভিডিও বার্তায় হুঙ্কার ছাড়ছেন। পুলিশ এখন জানার চেষ্টা চালাচ্ছে বিমল গুরুং ঠিক কোন জায়গা থেকে এই বার্তা ছড়াচ্ছেন। পুলিশ জানতে পেরেছে, বিমল গুরুং লেবংয়ের সামনাসামনি কোনও এলাকায় রয়েছেন। পুলিশ অভিযান চালাতে পারে এমন সম্ভাবনা তৈরি হলেই তিনি সিকিমে গা ঢাকা দিচ্ছেন।
এদিন বিমল গুরুংয়ের ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে, তিনি গোর্খ্যাল্যান্ডের দাবি থেকে সরবেন না। তিনি দূরে থেকেই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেবেন। তবে তিনি আদৌ নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে।
নেপালি ভাষায় পাঠানো বার্তায় তিনি হুঁশিয়ারি দেন, গোর্খাল্যান্ড পার্সোনেল তারই কথায় চলবে। যাঁরা বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তাঁদের ছেড়ে কথা বলবে না মোর্চা। তাঁরা উচিত শিক্ষা পাবেন যথা সময়েই। এখন পাহাড়ের রাশ হাত থেকে প্রায় বেরিয়ে যেতে বসেছে গুরুংয়ের। হিংসার আশ্রয় নিয়েই তাই অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।