দিল্লিতে বিজেপি শীর্ষ নেতার সঙ্গে গোপন বৈঠক গুরুংপন্থী মোর্চা শিবিরের
২০২১-র বিধানসভা ভোটের আগে ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছে বিমল গুরুংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা।
২০২১-র বিধানসভা ভোটের আগে ঘুঁটি সাজানো শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে বিজেপি নেতার সঙ্গে বৈঠক করেছে বিমল গুরুংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। গোর্খাল্যান্ডের দাবি বিধানসভা ভোটের আগে ফের জাগিয়ে তুলতেই বিজেপি কোমর বেঁধে নামছে। মোর্চার সঙ্গে বিজেপি নেতাদের বৈঠকে এমনই জল্পনা জেগে উঠেছে।
পাহাড়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিজেপি
সামনেই পুরসভা ভোট। তারপরেই রাজ্যের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা বিধানসভা ভোট। সেই ভোটের প্রস্তুতিতে এখন থেকেই ঘুঁটি সাজাতে শুরু করে গিয়েছে বিজেপি। পাহাড় দখলে রাখতে মরিয়া বিজেপি ইতিমধ্যেই সেখানকার শাসক দল বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ফেব্রুয়ারিতেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা(বিমল গুরুং পন্থী), গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্ট, সিপিআরএম, গোর্খাল্যান্ড রাজ্য নির্মাণ মোর্চা, সুমেতি মুক্তি মোর্চা এবং অখিল ভারতীয় গোর্খা লিগের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে কেন্দ্রের কাছে কী কী দাবি এই রাজনৈতিক দলগুলির রয়েছে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাও হয়েছে। সেখানেই ঠিক হয় একটি পরিচালন সমিতি গঠন করা হবে। যদিও বৈঠকের চারদিন পরেই বিমলপন্থী মোর্চা নেতারা জানিয়ে দেন তাঁরা এই পরিচালন সমিতির অংশ হতে চান না। জিএনএলএফের সঙ্গে তাঁদের একাধিক বিষয়ে বিরোধ রয়েছে।
দিল্লিতে বৈঠক মোর্চার
তার পরেই বিমলপন্থী মোর্চা নেতারা দিল্লিতে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন বলে সূত্রের খবর। রোশন গিরি জানিয়েছেন গত ৩ মার্চ দিল্লিতে সিকিমের দায়িত্ব প্রাপ্ত বিজেপি নেতা তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক রাম মাধবের সঙ্গে তাঁরা বৈঠক করেছেন। সেই বৈঠকে ছিলেন বিজেপি নেতা বিএল সন্তোষ এবং শিব প্রকাশ। সূত্রের খবর এই বৈঠকে মূল আলোচ্য বিষয় ছিল গোর্খা ল্যান্ড।
অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা
গোর্খাল্যান্ড যে এবারের বিধানসভা ভোটে পাহাড়ে বিেজপির মূল ইস্যু হতে চলেছে তা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর টুইটেই প্রকাশ্যে এসেছিল। তিনিই প্রথম টুইটে লিখেছিলেন ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে বিজেপি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেবে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুকে। ইতিমধ্যেই বিমল গুরুংের দাবি অমিত শাহের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ে এখনও বিজেপি নেতৃত্বে পরিচালন সমিতি গঠন না হলেও, গুরুংরা প্রস্তুতি শুরু করে গিয়েছেন।