‘৩০ অক্টোবর পাহাড়ে আসছি’, অডিও-বার্তায় মমতাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন গুরুং
এর আগেও তিনি প্রকাশ্যে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। গত ১২ অক্টোবর তিনি প্রকাশ্যে আসার বার্তা দেন। সেদিনই অভিযানে নেমে খুন হন অমিতাভ মালিক
পাহাড়ে তাঁকে ধরতে গিয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়েছিল। কিন্তু তাঁর টিকিও ছুঁতে পারেনি পুলিশ। উল্টে তাঁর সঙ্গীদের গুলিতে প্রাণ দিতে হয়েছে রাজ্য পুলিশের সাহসী অফিসার অমিতাভ মালিককে। এরপরও দমে যাননি মোর্তা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। অডি বার্তায় হুঙ্কার ছেড়েছেন- '৩০ অক্টোবর পাহাড়ে আসছি। যা কিছু হোক না কেন ওইদিন পাহাড়ে ঢুকবই।'
গুরুংয়ের এই বার্তা পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। রাজ্য পুলিশের ডিজির পাহাড় সফর শেষে গুরুংয়ের এই বার্তা একপ্রকার পুলিশ-প্রশাসনকে চ্যালেঞ্জই। তিনি প্রকারান্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই বার্তা পাঠালেন- ক্ষমতা থাকলে তাঁকে ধরুক পুলিশ।
নতুন অডিও বার্তায় তিনি আরও বলেন, 'সিংলার জঙ্গলে যে সমস্ত অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে, তা মোর্চার নয়। আসলে রাজ্য সরকার চাইছে না আমি প্রকাশ্য আসি। সেই কারণেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। যা হচ্ছে সবই সাজানো ঘটনা।' তা সত্ত্বেও তিনি পাহাড়ে আসবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন।
রাজ্য পুলিশের ডিজি সুরিজৎ কর পুরকায়স্থ পাহাড়ে গিয়েছিলেন বিমল গুরুংকে ধরার ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করতে। ডিজি ফেরার পরই গুরুংয়ের এই বার্তা এল। গুরুংয়ের বার্তায় উদ্বিগ্ন পাহাড়ের পুলিশ। সত্যিই গুরুং প্রকাশ্যে আসার সাহস দেখাবেন নাকি এটা গুরুংয়ের কোনও চাল তা ভালো করে বুঝতে চাইছে পুলিশ-প্রশাসন।
এর আগেও তিনি প্রকাশ্যে আসার বার্তা দিয়েছিলেন। গত ১২ অক্টোবর তিনি প্রকাশ্যে আসার বার্তা দেন। সেই বার্তার সূত্র ধরেই সিংলার জঙ্গলে অভিযানে নামে পুলিশ। রাতভর গুলির লড়াই চলে বিমল গুরুংয়ের জিএলপি বাহিনীর সঙ্গে পুলিশের। এই গুলির লড়াইয়েই মৃত্যু হয় অমিতাভ মালিকের। সিকিমে পালিয়ে যান বিমল গুরুং।
বিমল গুরুংয়ের অনুপস্থিতিতে পাহাড়ে রাজ করছেন বিনয় তামাং। তিনি চাইছেন না তাঁর হাত থেকে ক্ষমতার রাশ পুরোপুরি বেরিয়ে যাক। সেইজন্যই তিনি পাহাড়ে ফিরতে মরিয়া। তিনি চাইছেন গোপন পথেই পাহাড়ে পৌঁছতে। পাহাড়বাসী এখনও তাঁর সঙ্গে রয়েছেন। তাই মানুষের ভিড়ে মিশেই তিনি পাহাড়ে আসতে পারেন।