এসআই-এর মৃত্যু ও অস্ত্র উদ্ধারে চাপে গুরুং শিবির, ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি
চাপের মুখে পড়ে এবার পুলিশি অভিযান নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল বিমল গুরুংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এসআই-এর মৃত্যু এবং অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গুরুংপন্থীদের গায়ে এখন সরকারিভাবে জঙ্গি তকমা লাগা বাকি
চাপের মুখে পড়ে এবার পুলিশি অভিযান নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিল বিমল গুরুংপন্থী গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। অভিযানে এসআই-এর মৃত্যু এবং প্রচুর অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় গুরুংপন্থীদের গায়ে এখন সরকারিভাবে জঙ্গি তকমা লাগাটাই বাকি আছে।
লেবং সংলগ্ন টুকভার জঙ্গলে গুরুং-এর লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে অভিযান শুরু করে পুলিশ। ভোর চারটে নাগাদ হওয়া এই অভিযান শুরু হয়। জঙ্গলে পুলিশ দেখে পাল্টা গুলি চালায় গুরুং-এর নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনাস্থলেই মারা যান এসআই অমিতাভ মালিক। ঘটনার পরেই এলাকায় পাঠানো হয় আরও পুলিশ বাহিনী। তল্লাশি উদ্ধার হয় বেশ কয়েকটি একে ৪৭ রাইফেল, বিস্ফোরক।
এদিকে টুকভার জঙ্গলে গুরুংপন্থীদের গুলিতে এসআই-এর মৃত্যু এবং প্রচুর অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় বিপাকে পড়ে যায় বিমল গুরুং শিবির। শুক্রবার বিকেলের দিকে জারি করা বক্তব্যে গুরুং শিবির ঘটনার জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেই দায়ী করে। কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনার যে প্রক্রিয়া চলছে, তা বরবাত করতেই ঘটনা সাজানোর অভিযোগ করা হয়। এমন কী টুকভার জঙ্গল থেকে যে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে তাও পুলিশের সাজানো বলে দাবি গুরুং শিবিরের।
গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার জেনারেল সেক্রেটারি রোশন গিরির জারি করা বক্তব্যে জানানো হয়েছে, জঙ্গি সংগঠন হিসেবে তকমা দিতেই টুকভার জঙ্গলের ঘটনা সাজানো হয়েছে। একইসঙ্গে পুলিশের অস্ত্র উদ্ধার নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। পুলিশই অত্যাধুনিক অস্ত্র সাজিয়ে দেখিয়েছে বলে দাবি, রোশন গিরির। ঘটনায় এনআইএ তদন্তেরও দাবি করা হয়েছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী রোশন গিরি রয়েছেন দিল্লি কিংবা আশপাশ এলাকায় এবং বিমল গুরুম শুক্রবার ভোরের অপারেশনের পর ফের সিকিমেই আশ্রয় নিয়েছেন।
অগাস্ট-এ ইউএপিএ লাগু করার পর থেকেই বেপাত্তা বিমল গুরুং। দার্জিলিং এবং সংলগ্ন এলাকায় একাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় বিমল গুরুংকেই অভিযুক্ত করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং-এর আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৬ সেপ্টেম্বর ১০৪ দিনের বনধ তুলে নেয় গুরংপন্থী শিবির।