ছদ্মবেশে পাহাড়ে ঢুকছেন গুরুং! ধৃত মোর্চা নেতাদের জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
সম্প্রতি বিমল গুরুং অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি ৩০ অক্টোবর পাহাড়ে ঢুকবেন। গুরুংয়ের এই অডিও বার্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। এবার গুরুংকে কোনওমতেই হাতছাড়া করতে চাইছে না প্রশাসন।
পাহাড়ে পুলিশের জালে ধরা পড়লেন বিমল গুরুং ঘনিষ্ঠ দুই মোর্চা নেতা। দার্জিলিং পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিক খুনে এই দুই মোর্চা নেতা জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতরা হলেন সুনজিৎ তামাং ও ডম্বর প্রধান। ধৃতদের জেরা করে বিমল গুরুংয়ের সন্ধান জানার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
সম্প্রতি বিমল গুরুং অডিও বার্তায় জানিয়েছেন, তিনি ৩০ অক্টোবর পাহাড়ে ঢুকবেন। গুরুংয়ের এই অডিও বার্তাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই নিচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। এবার যাতে বিমল গুরুং কোনওমতেই হাতছাড়া না হয়, আটঘাট বেঁধেই নামতে চাইছে পুলিশ। ব্যুহ তৈরি করেই তাঁরা বিমল গুরুংকে পাকড়াও করতে চাইছে। পুলিশের কাছে খবর রয়েছে, বিমল গুরুং ছদ্মবেশে ঢুকতে পারেন পাহাড়ে। ধৃতদের জেরা করেও তেমন আভাস মিলেছে।
সেই নিরিখে বিমল গুরুং ঘনিষ্ঠ দুই নেতাকে জালে পোরা পুলিশের বড় সাফল্য বলেই মনে করা হচ্ছে। কেননা বিমল গুরুং নাগালের বাইরে। তাই তাঁকে নাগালে পেতে গেলে, তাঁর ঘনিষ্ঠ কারও কাছ থেকে তথ্য জানা আবশ্যক ছিল। তারপর গুরুং যদি সত্যিই ৩০ অক্টোবর পাহাড়ে আসেন, তিনি কীভাবে ঢুকবেন, কী তাঁর পরিকল্পনা, তার আভাসও মিলতে পারে ধৃত দুই নেতার কাছ থেকে।
পুলিশ বিমল গুরুংকে পাকড়াও করতে গোটা পাহাড় নিরাপত্তা বেষ্টনীকে মুড়ে ফেলেছে। সিকিমের প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে নেপাল সীমান্ত, শিলিগুড়ি ও দার্জিলিংয়ের সমস্ত সম্ভাব্য ঘাঁটিগুলিতে নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না পুলিশ। পাহাড়ে প্রকাশ্যে আসার আগেই তাঁকে জালে পুরে নেওয়াই পাহাড় পুলিশের প্রধান লক্ষ্য।
সোমবার দার্জিলিংয়ের একটি গোপন ডেরায় অভিযান চালিয়ে গুরুংয়ের দুই সহযোগীকে পাকড়াও করতে সমর্থ হয় পুলিশ। তাঁদের যেমন অমিতাভ মালিক মৃত্যুর ঘটনায় জেরা করা হচ্ছে, একইভাবে পুলিশ জানার চেষ্টা চালাচ্ছে, বিমল গুরুংয়ের বর্তমান অবস্থান। এদিনই তাঁদের আদালতে তোলা হয়। তারপর নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা চালাবেন তদন্তকারীরা।