কাশ্মীর দেখে নতুন করে জেগে উঠল গোর্খাল্যান্ডের দাবি, তৈরি নয়া আন্দোলনের রূপরেখা
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নতুন করে জাগিয়ে তুলল গোর্খাল্যান্ডের দাবি। বিজেপির রাজু বিস্ত এবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। শাসকদলের অবস্থা উত্তরবঙ্গে ভীষণই খারাপ।
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপ নতুন করে জাগিয়ে তুলল গোর্খাল্যান্ডের দাবি। বিজেপির রাজু বিস্ত এবার দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। শাসকদলের অবস্থা উত্তরবঙ্গে ভীষণই খারাপ। এই পরিস্থিতিতে পাহাড় অশান্ত করতে আবার গোর্খাল্যান্ডের ইস্যুতে ইন্ধন যোগাতে শুরু করেছেন বিমল গুরুংরা।
ফের জেগে উঠল গোর্খাল্যান্ডের দাবি
পাহাড়ের হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। আপাতত পাহাড় ছাড়া তিনি। কোথায় আছেন কেউ জানেন না। সেই গোপন ডেরা থেকেই কাশ্মীরের প্রসঙ্গ টেনে নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি জাগিয়ে তুলেছেন তিনি। গুরুংয়ের দাবি কাশ্মীর যদি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল হতে পারে তাহলে গোর্খাল্যান্ড কেন হতে পারবে না।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি
পশ্চিমবঙ্গ
থেকে
দার্জিলিং
পাহাড়কে
আলাদা
করে
গোর্খাল্যান্ড
তৈরি
করে
কেন্দ্র
শাসিত
অঞ্চল
করার
দাবি
জানিয়েছেন
তিনি।
এমনকী
বিনয়
তামাংও
এই
দাবি
জানিয়েছেন।
এই
নিয়ে
ইতিমধ্যেই
পোস্টার
পড়তে
শুরু
করেছে
পাহাড়ে।
বিমল
গুরুংয়ের
দাবি
লাদাখও
দার্জিলিঙের
মতোই
পার্বত্য
এলাকা।
তাহলে
লাদাখ
যদি
কেন্দ্র
শাসিত
অঞ্চল
হিসেবে
পৃথক
অস্তিত্ব
পেতে
পারে
তাহলে
দার্জিলিং
কেন
পারবে
না।
হুঁশিয়ারি গুরুংয়ের
নতুন করে এই দাবিতে আন্দোলন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিমল গুরুং। তিনি জানিয়েছেন ১৫ অগাস্টের পর থেকে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু করবে মোর্চা। ১৯৮০ সালে প্রথম সুবাস ঘিসিং গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেসময় পশ্চিমবঙ্গে শাসনের আসনে ছিল বামেরা। প্রবল হিংসা ছড়িয়েছিল পাহাড়ে। পর্যটকের আনাগোনা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ফের অশান্তির মেঘ পাহাড়ে
রাজ্যে ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর ফের শান্তি ফেরে পাহাড়ে। কিন্তু সেই শান্তি বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। জিটিএ-র কর্মহীনতা নতুন করে জাগিয়ে তুলেছিল গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন। এই নিয়ে প্রায় ১০৪ দিন হিংসাত্মক আন্দোলন চলেছে পাহাড়ে। পরে সেই আন্দোলন থিতিয়ে পড়লেও কাশ্মীর আর লাদাখ নতুন করে ইন্ধন যোগাল গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে।