গুরুং-এর 'হতাশ' বার্তা, বিনয় তামাংকে অভিশাপ ও শাস্তি দিন, আরও কী বললেন জেনে নিন
দার্জিলিং-এ বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে বিনয় তামাং-এর ভূমিকার সমালোচনা করলেন বিমল গুরুং। পুরো বক্তব্যে গুরুং-এর হতাশাই প্রকাশ পেয়েছে
দার্জিলিং-এ বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন নিয়ে বিনয় তামাং-এর ভূমিকার সমালোচনা করলেন বিমল গুরুং। ভিডিও বার্তায় বিমল গুরুং-এর দাবি, জিটিএ-র বদলে গঠিত বোর্ডের মাথায় বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে নিয়োগের বিষয়টি আগেই জানতেন। পুরো বক্তব্যে গুরুং-এর হতাশাই প্রকাশ পেয়েছে।
নিজের পায়ের তলার মাটি যে সরছে বিমল গুরুং তা আগে থেকেই বুঝতে পারছিলেন। দলের সর্বময় কর্তা হলেও, তাকে না জানিয়ে সিটং এবং লাটপাঞ্চারে বিনয় তামাং-এর গোপন বৈঠকের কথাও ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন বিমল গুরুং। দূর থাকায় দলের রাশও যে আলগা হচ্ছে বিমল গুরুং-এর বক্তব্যে তাও পরিষ্কার হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, দলের ভিতরে চক্রান্ত চলছে। দলেরই নেতা বিনয় তামাং-এর বিরুদ্ধে দ্বিচারিতারও অভিযোগ করেছেন বিমল গুরুং। তিনি জানিয়েছেন, জিটিএ-র ৪৫ জন সদস্যকে নিয়ে জিটিএ প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্ত দলে গৃহীত হওয়ার পর বিনয় তামাং ডিজিএইচসি এবং জিটিএ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করে চুক্তিপত্র পুড়িয়েছিলেন দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে। সেই বিনয় তামাংই রাজ্যের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গঠিত পাহাড়ের জন্য গঠিত বোর্ডের মাথায় বসেছেন। বিষয়টি নিয়ে পাহাড়ের মানুষের চোখে বিনয় তামাং ধুলো দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিমল গুরুং।
গোর্খাল্যান্ডের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে শিবচু, দার্জিলিং, কালিম্পং-এর বহু গোর্খা প্রাণ দিয়েছেন। বিনয় তামাং এবং অনিত থাপা সেই সব গোর্খার বলিদানকে কলঙ্কিত করেছেন বলে অভিযোগ বিমল গুরুং-এর। তাই বিশ্বের গোর্খাদের কাছে বিনয় তামাং এবং অনিত থাপাকে অভিশাপ ও শাস্তি দেওয়ার আবেদন করেছেন বিমল গুরুং। সুবাস ঘিসিং-এ পাহাড় থেকে উৎখাতের পর যে বিমল গুরুং হয়ে উঠেছিলেন পাহাড়ের সর্বময় কর্তা, সেই গুরুং-এর এই ধরনের আবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। তাহলে কি পাহাড়ের রাশ একেবারেই আর নেই গুরুং-এর হাতে ? প্রশ্ন পাহাড়বাসীর অনেকেরই।
বুধবার পাহাড়ের জন্য বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন গঠনের সিদ্ধান্তের কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মাথায় বসানো হয় মোর্চার 'বিদ্রোহী' নেতা বিনয় তামাংকে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, জিটিএ থেকে সবাই পদত্যাগ না করলে এই বোর্ড গঠনের প্রয়োজন হত না।