২৮শে পাহাড় বনধের ডাক মোর্চার, প্রতিরোধে তৈরি মমতার সরকার, হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা
কলকাতা, সেপ্টেম্বর : আগেই অনির্দিষ্টকালের জন্য পাহাড় অচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। এবার খানিক নমনীয় হয়ে একদিনের পাহাড় বনধের ডাক দিল মোর্চা। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবার পাহাড় বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। সেই বনধ ব্যর্থ করতে প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু করেছে রাজ্য। হাইকোর্টেও জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে এই মর্মে। আগামীকাল মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি প্রধান বিচারপতি গিরীশ গুপ্তের ডিভিশন বেঞ্চে।
মুখ্যমন্ত্রী পাহাড় সফরে চলাকালীনই পাহাড় অচল করার ডাক দিয়েছিলেন গুরুং। তাঁর দাবি ছিল, পাহাড়ের উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী যে পরিমাণ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। ওই টাকার হিসেব দিন তিনি। ২৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৪০০ কোটির হিসেব না দিলে তিনি পাহাড় অচল করে দেবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, কোনওভাবেই বনধের রাজনীতি বরদাস্ত করা হবে না। পাহাড়কে রক্ষা করতে তিনি সচেষ্ট হবেন।
মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা মতোই মোর্চার পাহাড়ে বনধ ঘোষণার পরই প্রশাসনিক তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে আর্জি জানানো হয় সরকারের পক্ষ থেকে। ফের একবার ঘোষণা করা হয়, বনধের দিন কোনওমতেই ছুটি নেওয়া চলবে না। ছুটি নিলে বেতন কাটা হবে। বনধের আগের দিন ও পরের দিনও উপস্থিত থাকতে হবে প্রতিটি সরকারি কর্মীকে।
মোর্চা নেতৃত্বের পক্ষে পর্যটকদের উদ্দেশ্যে বিনয় তামাং-এর আর্জি, পাহাড়ে যাঁরা আসছেন, তাঁরা ২৮ সেপ্টেম্বর আসবেন না। তাঁরা একদিন আগে বা একদিন পরে আসুন। অন্যদিকে এদিনই পাহাড় বনধ নিয়ে দ্বিতীয় জনস্বার্থ মামলা করলেন তৃণমূল সাংসদ ইদ্রিশ আলি। তাঁর দাবি, বনধ মানেই একটা কর্মদিবসের অপমৃত্যু। জনজীবন বিপর্যস্ত, ভাঙচুর, অশান্তি, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি। তাই বনধ নিষদ্ধ করা হোক। ওইদিন জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
আগামীকালই এই মামলাটি শুনবেন প্রধান বিচারপতি। পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, মোর্চার ডাকা এই বনধ অন্যায় ও অনৈতিক। পাহাড়বাসী এই বনধ মানবেন না। পাহাড়ে ওইদিন স্বাভাবিক ছন্দ বজায় থাকবে। তৃণমূল ওইদিন পাহাড়ে বনধের বিরোধিতায় মিছিল করবেও বলে জানান তিনি।