জিটিএ ছাড়ল মোর্চা, রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত বাড়িয়ে যুদ্ধ জারি গুরুংদের
হুমকি ছিলই, এদিন জিটিএ ছেড়ে রাজ্যকে বার্তা দিলেন গুরুংরা। পুলিশ-সেনা অভিযান বন্ধ না হলে অনির্দিষ্টকালীন বনধে অনড় থাকবে মোর্চা।
জিটিএ ছাড়ার হমকি আগেই দিয়ে রেখেছিলেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং। শুক্রবার পাকাপাকি ভাবেই জিটিএ থেকে পদত্যাগ করলেন মোর্চার সভাসদরা। এদিন মোর্চার ৪৩ সভাসদ পদত্যাগপত্র পাঠান জিটিএ সচিবের কাছে। রাজ্যপালের কাছে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন জিটিএ-র মুখ্য নির্বাহী আধিকারিক বিমল গুরুং।
মোর্চার প্রতিনিধিদের পদত্যাগের ফলে ভোটের আগেই ভেঙে গেল জিটিএ। এদিন জিটিএ থেকে পদত্যাগ করে পাহাড়ের আন্দোলন আরও জোরদার করা হবে বলে হুমকি দিয়েছেন বিমল গুরুং। তিনি জানিয়েছেন, গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে পাহাড়ে আন্দোলন আরও ভয়ঙ্কর রূপ নেবে। ২৯ জুন ফের সর্বদলীয় বৈঠক করে আন্দোলনকে সঙ্ঘবদ্ধ রূপ দেওয়ার পরিকল্পনা করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন তিনি।
গুরুং এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ' আমাদের দাবি একটাই, তা হল গোর্খাল্যান্ড। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে আর দ্বিতীয় কোনও দাবি নেই। যতক্ষণ না আমাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে। অনির্দিষ্টকালীন বনধে মোর্চা অনড় থাকছে বলে জানিয়েছেন গুরুং।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করেন মোর্চা প্রধান। বলেন, মুখ্যমন্ত্রী হিটলারের মতো আচরণ করছেন। পাহাড় পুলিশ ও সেনা অভিযানের নামে তাঁর হিটলারি আচরণ জারি রেখেছেন। যতক্ষণ না তিনি পাহাড় থেকে পুলিশ ও সেনা প্রত্যাহার করছেন, ততক্ষণ আন্দোলন চলতেই থাকবে। একমাত্র সেনা-পুলিশ অভিযান বন্ধ হলেই তাঁরা আলোচনার টেবিলে বসতে রাজি।
এদিন মোর্চা জিটিএ ছাড়ার পরে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাত আরও বাড়াবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গুরুংয়ের কথায় সেই আভাসই এদিন পাওয়া গেল। এদিন সিকিমগামী বাস বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় মোর্চা সমর্থকরা। পর্যটকদের বাস ভাড়া ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা হয়। ছাত্রছাত্রীদের জন্য বনধ শিথিল করা হলেও পাহাড়জুড়ে এদিনও মোর্চার আন্দোলন জারি থাকে। গুরুং জানান, সিংমারিতে সেদিন পুলিশই গুলি চালিয়েছে। মোর্চা গুলি চালায়নি।