বিহারে মহাজোটের জয়ে স্বস্তিতে মমতা, 'অসহিষ্ণুতার হার' বলে খোঁচা বিজেপিকে
কলকাতা, ৮ নভেম্বর : বিহার বিধানসভা নির্বাচনে মহাজোটের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়ে উচ্ছ্বসিত পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিহারে বিজেপি নেতৃত্বাধীন বিজেপির হারকে অসহিষ্ণুতার হার বলেই ব্যখ্যা করলেন মমতা।
বিহারের নির্বাচনে ফলের চিত্রটা প্রায় পরিষ্কার হয়ে যেতেই টুইট করে লালু প্রসাদ যাদব ও নীতিশ কুমারকে শুভেচ্ছা জানিয়ে একটি টুইট করেন মমতা। তিনি বলেন, "অভিনন্দন নীতিশকুমারজি, লালুজি ও আপনাদের গোটা দলকে, এবং বিহারে আমার ভাই ও বোনেদের। সহিষ্ণুতার জয় হয়েছে, অসহিষ্ণুতার হার।"
২০১৬ সালে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বিহারের এই নির্বাচন ছিল বিজেপির অ্যাসিড টেস্ট। কারণ পশ্চিমবঙ্গের মতোই বিহারেও বিজেপির দলীয় সংগঠন খুব একটা মজবুত নয়। সেক্ষেত্রেও নীতিশকুমার, লালু যাদবের মতো হেভিওয়েট নেতার সামনে বিজেপি ধোপে টিকতে পারে কি না তার দিতে নজর ছিল তৃণমূলের।
রাজ্যভেদে নির্বাচনের পরিস্থিতি আলাদা হয় ঠিকই, কিন্তু এক্ষেত্রে বিহারে হেভিওয়েট মহাজোটকে হারিয়ে যদি বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা অস্বাভাবিক কিছু ফল করে বসত তাহলে কিন্তু মমতার আত্মবিশ্বাসেও একটা ধাক্কা লাগত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
একেই লোকসভা নির্বাচনের মোদী ঝড় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেকটা দুর্বল হয়েছে। রাজ্যের বিজেপি সংগঠন ক্রমশই আলগা হচ্ছে। তারকা মুখ এনে বিজেপি টিকে থাকার লড়াই চালালেও লাভ সেভাবে কিছুই হচ্ছে না। তার উপর বিহারের নির্বাচনের ফলে বেশ খানিকটা অক্সিজেন ও আত্মবিশ্বাস পেয়েছেন মমতা।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছে, রাজ্যে বিজেপির সংগঠন যত দুর্বল হচ্ছে, মুখে না বললেও তত চাপে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ, সিপিএম আবার হঠাৎ করে উঠে আসছে। বিজেপি দুর্বল হয়ে পড়ায় লাল ও গেরুয়ার প্রতিযোগিতাটা ক্রমশ কমে আসছে। আর ফের লড়াইটা এসে দাঁড়াচ্ছে কাস্তে-হাতুড়ি আর ঘাস ফুলে। আর সেটা তৃণমূলের পক্ষে খুব একটা ভাল খবর নয়।