আরাবুল বাহিনীর সন্ত্রাসের প্রতিবাদে গর্জে উঠল ভাঙড়, পা ভাঙা প্রার্থীকে নিয়ে কমিশনে বিক্ষোভ
আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ভাঙড়ে বিশাল মিছিল বের করল জমি-জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি।
আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে আরাবুল বাহিনীর বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ভাঙড়ে বিশাল মিছিল বের করল জমি-জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটি। মঙ্গলবার বিকেলে এক নম্বর ব্লক এলাকায় মিছিল করে জমি-জীবিকা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে মিছিল করে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তোলা হয়। এদিন তৃণমূলের হামলায় পা ভেঙে যাওয়া নির্দল প্রার্থীকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করে 'সেভ দ্য ডেমোক্রেসি'ও।
জমি-জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে এদিন দাবি করা হয়, প্রাক-নির্বাচনী সন্ত্রাসে নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে মিছিলে বোমা-গুলি চালিয়ে খুন করা করা হয় হাফিজুল মোল্লাকে। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় শুধু আরাবুল ইসলসামকে গ্রেফতার করেই ক্ষান্ত পুলিশ। পুলিশ টিকিও ছুঁতে পারেনি বাকি ১২ জন অভিযুক্তের।
এই অবস্থায় সোমবার ভোট-পর্বে দাপিয়ে বেড়ায় আরাবুল বাহিনী। ভোট চলাকালীন আরাবুলের ছেলে হাসিমুলের নেতৃত্বে তাণ্ডব চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, এদিনও বুথে বুথে নির্দল কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালানো হয়। এই হামলার ঘটনাতেও অভিযুক্ত হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে বলে দাবি তোলা হয় জমি ও জীবিকা বাস্তুতন্ত্র রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে।
তাঁদের অভিযোগ, আরাবুলকে গ্রেফতার করে যেমন আইওয়াশ করতে চাইছে সরকার ও তার পুলিশ। নির্বাচনের দিনে অবাধে ঘুরে বেড়াল হাফিজুল খুনে অভিযুক্ত আরাবুল-পুত্র হাসিমুল। তাকে গ্রেফতার করল না পুলিশ। তৃণমূলের গুন্ডারা নির্দল প্রার্থী এন্তাজুল খানের পা ভেঙে দিল, তারপরও পুলিশের কোনও ভূমিকা চোখে পড়েনি।
এদিন তাই এন্তাজুলকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনে যান জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সদস্যরা। তাঁরা নির্বাচন কমিশনারের অফিসে একটা স্মারকলিপি জমা দেন। এর অদ্যাবধি পরে পা ভেঙে যাওয়া নির্দল প্রার্থী এন্তাজুলকে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থান করে 'সেভ দ্য ডেমোক্রেসি'।
অভিযোগ করা হয়, ভোটের দিন, নির্দল প্রার্থীকে মেরে পা ভেঙে দিল একটা পক্ষ, অবাধ সন্ত্রাস চালাল এলাকায়, তবু কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই রাজ্য প্রশাসনের। রাজ্য প্রশাসন বলছে, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। রাজ্য যে অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোটের নমুনা রেখেছে, তা দেখেছে আদালতও। আমরা অবিলম্বে হামলাকারীদের গ্রেফতার দাবি করছি। সেইসঙ্গে দাবি ওঠে সন্ত্রাসকবলিত ভোট গুলিতে পুনরায় নির্বাচন করার।