Bhawanipur Election: প্রচারের শেষদিনে ভবানীপুরের ঘটনায় রিপোর্ট তলব কমিশনের, নির্বাচন স্থগিতের দাবি বিজেপির
প্রচারের শেষলগ্নে চরম উত্তেজনা ছড়াল ভবানীপুরে। বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি দিলীপ ঘোষকেও মারধরের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ
প্রচারের শেষলগ্নে চরম উত্তেজনা ছড়াল ভবানীপুরে। বিজেপির উপর হামলার অভিযোগ। ঘটনায় বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকি দিলীপ ঘোষকেও মারধরের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভবানীপুর।
আর এই ঘটনাতে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এই ঘটনাতে চরম অস্বস্তিতে শাসকদল তৃণমূল। তবে এই ঘটনাতে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন ভবানীপুর। আর ভোটের দুদিন আগে একেবারে ধন্ধুমার কাণ্ড জদুবাবুর বাজারে। আর এই ঘটনাতে বিস্তারিত জানিয়ে রাজ্যকে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কি কারনে এই ঘটনা সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়। ঘটনার সময়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী ছিল না বলেও অভিযোগ বিজেপির।
সেই বিষয়েও তথ্য জানানোর কথা বলা হয়েছে। কেন বাহিনীকে ব্যবহার করা হয়নি সেই বিষয়ে নবান্নের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। ঘটনার ভিডিও ফুটেজও চেয়ে পাঠানো হয়েছে। ভবানীপুরের ঘটনাতে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখছে নির্বাচন কমিশন।
অন্যদিকে এই ঘটনার পর নির্বাচন স্থগিতের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এই মর্মে কমিশনের দ্বারস্থও তাঁরা হবেন বলে জানিয়েছেন প্রাক্তণ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ঘটনার পরেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি। সেখানে দিলীপ ঘোষ বলেন, ভবানীপুরে এই মুহূর্তে ভোট করার পরিস্থিতি নেই। আইনশৃঙ্খলা নেই বলেও দাবি তাঁর।
তবে দিলীপের মতে প্রত্যেক জায়গাতেই এই ধরনের ঘটনা আমাদের দেখতে হচ্ছে। তবে ভবানীপুর কেন্দ্রে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী লড়াই করছেন সেখানে এই ধরনের ঘটনা কীভাবে ঘটে? প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের। শুধু তাই নয়, এই প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনকেও একহাত তাঁর।
বিজেপি সাংসদের দাবি, আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বারবার নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানানো হয়েছে। কিন্তু এরপরেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে দাবি তাঁর। নির্বাচনের প্রচার, ভোটারদের কাছে পৌঁছতে দেওয়া হচ্ছে না। শুধু তাই নয়, প্রচারের শেষদিনে যেভাবে অশান্ত করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করা হল তাতে কি মানুষ নিরপেক্ষভাবে ভোট দিতে পারবে? এই ঘটনার পর সেখানকার মানুষ ভয় রয়েছেন বলে দাবি দিলীপ ঘোষের। ফলে এই ভয়ের পরিস্থিতি বন্ধ না হলে ভোট স্থগিতের দাবি জানিয়েছেন সাংসদ।
অন্যদিকে, ' তৃণমূল যে এমন হামলা চালাতে পারে তা বিজেপি আগেই আন্দাজ করেছিল বলেও জানান দিলীপ। তিনি বলেন, আমরা আগে থেকেই পুলিশকে জানিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ সহযোগিতা করেনি। একজন পুলিশ সুপার পদাধিকারী আমাদের বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। হেরে যাওয়ার ভয়ে তৃণমূল এ সব করছে। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের যদিও পাল্টা দাবি মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত না বলেও দাবি তৃণমূল নেতৃত্বের।