মৃতদেহ নিয়ে মিছিল ঘিরে ধুন্ধুমার! জনতা-পুলিশ খণ্ডযুদ্ধে ফের উত্তপ্ত ভাটপাড়া
বৃহস্পতিবার গুলিতে মৃত দুজনের দেহ নিয়ে শোকযাত্রা বের হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া।
বৃহস্পতিবার গুলিতে মৃত দুজনের দেহ নিয়ে শোকযাত্রা বের হতেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। জনতার তাড়ায় সিনিয়র থেকে অন্য পুলিশ আধিকারিকরা দৌড়ে থানায় ঢুকে পড়েন। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছোড়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে হায় হায় ধ্বনি ওঠে। জানা গিয়েছে, শ্মশান পর্যন্ত শোক মিছিলের সঙ্গে নেই পুলিশ বাহিনী।
রামবাবু সাউ এবং ধরমবীর সাউয়ের দেহ নিয়ে রাস্তায় নামতেই উত্তেজনা। ভাটপাড়ায় কাছাড়ি রোডে দুজনের বাড়ি থেকে দুটি দেহ নিয়ে মিছিল শুরু হয়। মিছিলে কেন এত পুলিশ, প্রশ্ন করেন তাঁরা। দফায় দফায় বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কাঁকিনাড়া বাজার এলাকা। এরিয়া ডমিনেশন করছিলেন পুলিশ আধিকারিকরা। বিজেপি সমর্থকদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয়। এর পরেই মৃতদেহ নিয়ে হওয়া মিছিলের একেবারে সামনে চলে আসেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তাঁর ছেলে পবনও ছিলেন পাশে। পুলিশের অক্ষমতার জন্যই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। বোঝানোর চেষ্টা করেন অর্জুন সিং। তাঁর বুকে ছিল কালো ব্যাজ।
শ্মশান পর্যন্ত মিছিলে অংশ নেন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ। স্থানীয়দের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই এলাকায় মজুত রয়েছে অস্ত্র। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাটপাড়া। প্রথমে এদিন কাঁকিনাড়ার নয়াবাজার এলাকায় বোমা গুলি চলে। পরে তা চার ও পাঁচনম্বর রেল সাইডিং এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় এলাকার দোকানপাট। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের জোট দু-র ডিএসপি আনন্দ রায়ের নেতৃত্বে গলিতে গলিতে তল্লাশি শুরু হয় এলাকায়। গুলিতে দুজনের মৃত্যু হয়। সাতজন ভর্তি হাসপাতালে।