প্রচারে গিয়ে অগ্নিশর্মা ভারতী ঘোষ, পুলিশ-তৃণমূলের ‘কারসাজি’তে ফিরল এসপি-র ‘মেজাজ’
কেশপুরের ইতিহাস হল- ক্ষমতা যার দেওয়াল তার। ক্ষমতা যার প্রচারও তার। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। রবিবাসরীয় প্রচার ফের প্রমাণ দিল সেই ইতিহাসের।
কেশপুরের ইতিহাস হল- ক্ষমতা যার দেওয়াল তার। ক্ষমতা যার প্রচারও তার। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। রবিবাসরীয় প্রচার ফের প্রমাণ দিল সেই ইতিহাসের। এদিন কেশপুর থানার বকছড়ি আর আমড়াকুচিতে প্রচারের কর্মসূচি ছিল বিজেপির। সেই প্রচারে গিয়ে ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ তাজ্জব বনে গেলেন।
দুটি জায়গাতেই প্রচারে গিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রাক্তন পুলিশ সুপার তথা বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষ দলীয় কর্মীদের সঙ্গে গিয়ে দেখেন, এলাকার সমস্ত দোকানপাটের ঝাঁপ বন্ধ, এমনকী বাড়ি-ঘরের দরজা জানলা বন্ধ করে রেখেছেন মানুষজন। এই দৃশ্য দেখার পরই উত্তেজিত হয়ে পড়েন বিজেপির প্রার্থী।
[আরও পড়ুন:রাহুল সিনহার নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের 'মোদী চোর হ্যায়' স্লোগান]
তিনি এখন আর পুলিশ সুপার নন জেলার। তবু মেজাজে তিনি পুলিশ সুপারের থেকেও কম যান না। পুলিশ সুপারের মেজাজেই তিনি কেশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হীরক বিশ্বাসকে রীতিমতো ধমক দেন। ধমকের সুরে তিনি বলেন, ''আমি জানি এসব আপনাদের (পুলিশের) আর তৃণমূলের কারসাজি।
[আরও পড়ুন:নবাব-গড়ে কংগ্রেস-সিপিএমকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের, ফিরে দেখা মুর্শিদাবাদের ভোট ইতিহাস ]
তিনি বলেন, "আপনারাই মানুষকে হুমকি দিয়ে বলেছেন তারা যাতে বাড়ির বাইরে না বেরোন। আপনাদের ভয়েই দোকানপাট বন্ধ রেখেছেন মানুষ।'' ভারতীদেবী দাবি করেন, আপনারা ভালোভাবেই জানেন এভাবে ভারতী ঘোষ আর বিজেপিকে আটকানো যাবে না। আমি আবার আসব এবং গ্রামের ভেতরে যাব, তখন যদি এই একই অবস্থা দেখি তবে আপনাদের বিরুদ্ধেই নির্বাচন কমিশনে যাব।
[আরও পড়ুন: কাঁটে কা টক্করে এবার চার প্রার্থী, নির্বাচনের আগে ফিরে দেখা জঙ্গিপুরের ভোট ইতিহাস ]
এরপরই
ভারতী
ঘোষ
নিজেই
হ্যান্ডমাইক
নিয়ে
স্লোগান
দিতে
শুরু
করেন,
দুর্নীতিবাজ
তৃণমূল
সরকার
আর
নেই
দরকার,
বেকারদের
চাকরি
দিতে
ব্যর্থ
তৃণমূল
সরকার
আর
নেই
দরকার,
ইত্যাদি
ইত্যাদি
আরও
অনেক
স্লোগান।
কেশপুরের
এই
চিত্র
অবশ্য
নতুন
কিছু
নয়,
এর
আগে
সিপিএম
ক্ষমতায়
থাকার
সময়েও
বিরোধীদের
প্রচারে
বাধা
দেওয়ার
অভিযোগ
উঠেছিল।
তবে
এদিনই
কেশপুরের
প্রাক্তন
তৃণমূল
নেতা
তথা
পঞ্চায়েত
সমিতির
সদস্য
তপন
মাঝির
নেতৃত্বে
তৃণমূলের
বেশকিছু
সদস্য
বিজেপিতে
যোগদান
করেন।
মেদিনীপুর
শহরের
লোধাস্মৃতি
ভবনে
এঁদের
হাতে
পতাকা
তুলে
দেন
রাজ্য
সভাপতি
দিলীপ
ঘোষ।