আরাবুলের গ্রেফতারি কি আইওয়াশ! অগ্নিগর্ভ ভাঙড়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও উঠছে আঙুল
আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারিকে আইওয়াশ মনে করছেন ভাঙড়ের জমি আন্দোলনকারীরা। তাই আন্দোলনের রাস্তা থেকে না সরে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তাঁরা।
আরাবুল ইসলামের গ্রেফতারিকে আইওয়াশ মনে করছেন ভাঙড়ের জমি আন্দোলনকারীরা। তাই আন্দোলনের রাস্তা থেকে না সরে অবস্থান-বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তাঁরা। শনিবার ভাঙড়ের নতুন হাট থেকে শুরু করে রাস্তা মোড়ে মোড়ে দফায় দফায় অবস্থান বিক্ষোভ চলে। তারই মধ্যে ভেসে আসে বোমার আওয়াজ। হাফিজুল ইসলাম হত্যাকাণ্ডের পর ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে ভাঙড়।
[আরও পড়ুন:ভোটের লাইনে বোরখায় টান! কর্ণাটকে চাঞ্চল্য]
এদিন আন্দোলনকারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও সরব হন। মির্জা হাসান নামে জমি-জীবিকা বাস্তুতন্ত্র ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির এক সদস্যের কথায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই আরাবুল আমাদের শেষ করার জন্য ময়দানে নেমেছিলেন। এখন আরাবুলকে গ্রেফতার করিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেখাতে চাইছেন রাজধর্ম পালন করছি আমরা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদৌ ভাঙড়ে শান্তি চান কি না তা নিয়ে আন্দোলনকারীদের মনে সংশয় রয়েছে। আন্দোলনকারীরা বলেন, শুধু আরাবুলকে গ্রেফতার করলেই আমরা আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাব না। আমরা এর শেষ দেখতে চাই। আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাফিজুল হত্যাকাণ্ডে আরাবুল ছাড়াও যাঁদের নাম রয়েছে, অবিলম্বে তাঁদের গ্রেফতার করেত হবে।
এই ঘটনায় আরাবুলের ছেলে হাকিমুল থেকে শুরু করে আরাবুলের ভাই খুদে-সহ ১২ জনের নামে এফআইআর হয়েছে, তাঁদের সবাইকে গ্রেফতার করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আরাবুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে ঠিকই, পুলিশ কিন্তু আরাবুল বাহিনীকেই পরোক্ষে সমর্থন করে গিয়েছে। তাই এখন আরাবুলকে সাজানো গ্রেফতার করে বাকিদের ছাড় দেওয়া আমরা মানবা না।
এদিন অবস্থান-বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের দাবি, আরাবুল, হাকিমুল ও খুদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। যতক্ষণ না তাঁদের গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে ততক্ষণ আমাদের আন্দোলন চলবে। নিহত হাফিজুলের স্ত্রী ও পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড বিরোধী আন্দোলনকারীরা নির্দল প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল করেছিলেন। সেই মিঠিল নতুনহাট মোড়ে পৌঁছলে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। মিছিল লক্ষ্য করে বোমা চালানো হয়, চালানো হয় গুলিও। দুষ্কৃতীদের সেই গুলি লেগেই মৃত্যু হয় হাফিজুল মোল্লা নামে এক আন্দোলনকারীর। এরপর অভিযুক্তদের গ্রেফতারির দাবিতে হাড়োয়া রোড অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ পেয়ে এরপর পুলিশ রাতেই আরাবুলকে গ্রেফতার করে।