মুখ্যমন্ত্রীর আসা চাই, নতুবা থামবে না আন্দোলন, সাফ জানালেন আন্দোলনকারীরা
‘আমরাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শুনতে চাই, পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প বন্ধের কথা। সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রামে আসতে হবে। ঠান্ডা ঘরে বসে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি আমরা মানব না।’
দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ১৮ জানুয়ারি : মুখ্যমন্ত্রী না আসা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। চলবে অবরোধ। সাফ জানালেন আন্দোলনকারী গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, 'আমরাও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে শুনতে চাই, পাওয়ার গ্রিড প্রকল্প বন্ধের কথা। সে জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রামে আসতে হবে। ঠান্ডা ঘরে বসে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতি আমরা মানব না।'[ভাঙড়ের ঘটনা তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, দাবি বিজেপি নেতা রাহুল সিনহার]
বুধবার বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে উত্তপ্ত ভাঙড়ের গ্রাম। মোড়ে মোড়ে অবরোধ চলছে। মাছভাঙা থেকে খামারআটি, পদ্মপুকুর- সর্বত্রই গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ জারি। কেউ দাবি করছেন, যতক্ষণ না নিখোঁজ গ্রামবাসীরা ফিরে আসে, ততক্ষণ অবরোধ চলবে। আবার কেউ দাবি করছেন, শান্ত ভাঙড়কে উত্তপ্ত করল যারা, সেই এমপি-এমএলএ-দের আগে গ্রেফতার করতে হবে।[ভাঙড়ে যে গুজবের কারণে পাওয়ার গ্রিডের জমি নিয়ে আন্দোলনে গ্রামবাসীরা]
সর্বোপরি
যে
দাবি
উঠল,
মুখ্যমন্ত্রীকে
আসতে
হবে
ভাঙড়ের
এই
গ্রামে।
আমরা
তাঁর
মুখে
শুনতে
চাই
সব।
তারপরই
আমরা
আন্দোলন
থামাব।
নতুবা
আমাদের
অবরোধ-বিক্ষোভ-আন্দোলন
থামবে
না।
কিন্তু
মুখ্যমন্ত্রী
তো
সাফ
জানিয়ে
দিয়েছেন,
পাওয়ার
গ্রিডের
কাজ
বন্ধ।
মানুষ
না
চাইলে
কোনও
পর্কল্প
হবে
না।
তবু
গ্রামবাসীরা
তা
শুনতে
নারাজ।
সশরীরে
মুখ্যমন্ত্রী
গ্রামে
এসে
আশ্বাস
না
দিলে,
আন্দোলন
দীর্ঘস্থায়ী
হবে।
অবরোধ
তুলতে
ব্যর্থ
পুলিশ
প্রশাসন।[পুলিশের
পোশাকে
গুলি
চালিয়েছে
বহিরাগত
দুষ্কৃতীরাই!
উদ্ধার
পুলিশের
উর্দি]
এদিন সকালে তাই অতির্কিত পুলিশ বাহিনী পাঠানো হয়েছে। প্রশান মনে করছে, যেভাবে গ্রামের পর গ্রাম, এলাকার পর এলাকা, ক্ষোভ ছড়িয়েছে, তাতে নিয়ন্ত্রণে আনা দুঃসাধ্য। অতিরিক্ত পুলিশ বাহিনী এলেও ক্ষোভ প্রশামিত হবে না। নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে জলকামানও।[ভাঙড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত ২ গ্রামবাসী]
এদিকে জেলা প্রশাসনএর তরফে আন্দোলনকারীদের আলোচনার টেবিলে আনার চেষ্টা জারি রয়েছে। জেলা শাসক সমাধান সূত্র খুঁজতে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের। আগামীকাল জেলা শাসকের অফিসে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেন আন্দোলনকারীরা। সেই চেষ্টাই চালানো হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তরফে।[জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়, প্রয়োজনে পাওয়ার গ্রিড সরানো হবে : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়]
মুখ্যমন্ত্রী বার্তা দিয়েছেন, ভাঙড়ে শান্তি বজায় রাখতে হবে দলকে। রেজ্জাক ও আরাবুল দুই গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যেই তাঁর বার্তা, শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন। কোনওরকম প্ররোচনা পা দেওয়া যাবে না। কোনওরকম বিবাদে জড়িয়ে পড়া যাবে না। পরিস্থিতির উপর নজর রাখুন।[অশান্ত ভাঙড়, নিজের এলাকায় ঢুকতেই পারলেন না রেজ্জাক]