
রাতের অন্ধকারে মহিলাদের আটক, টেট উত্তীর্ণদের আন্দোলন উচ্ছেদ নিয়ে রিপোর্ট তলব রাজ্য মহিলা কমিশনের
আইন অনুযায়ী সূর্য ডোবার পরে কোনও মহিলাকে আটক বা গ্রেফতার করা যায় না। কিন্তু সেই আইন মানা হয়নি টেট আন্দোলনকারীদের করুনাময়ী থেকে উচ্ছেদ করার সময়। মধ্যরাতে অপারেশন চালিয়েছিল পুলিশ। মহিলা পুরুষ নির্বিশেষে সব আন্দোলনকারীদের জোর করে আটক করে করুনাময়ীকে দখল মুক্ত করেছিল তারা। মহিলাদের কীভাবে সূর্যাদের পরে আটক করল কলকাতা পুলিশ তা নিয়ে রিপোর্ট তলব করেছে রাজ্য মহিলা কমিশন। কলকাতা পুলিশকে ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

রাতের অন্ধকারে উচ্ছেদ
কলকাতা হাইকোর্ট দুপুরেই নির্দেশ দিয়েছিল কুরুনাময়ীকতে ১৪৪ ধারা রক্ষা করার। পুলিশ বিকেল থেকে করুনাময়ী চত্ত্বরে তৎপরতা শুরু করে। কিন্তু টেট উত্তীর্ণ আন্দোলনকারীরা সরতে রাজি হয়নি। তাঁদের মাইকে করে হাইকোর্টের নির্দেশ শোনানো হয়। কিন্তু আন্দোলনে অনড় ছিলেন টেট উত্তীর্ণরা। শেষে জোর করেই রাতের অন্ধকারে টেনে হিঁচড়ে পুলিশ ভ্যানে তুলে করুনাময়ীকে দখল মুক্ত করেন। রাতারাতি পরিষ্কার করে দেওয়া হয় গোটা রাস্তা। সকাল থেকে সেখানে যানচলাচল পর্যন্ত শুরু হয়ে গিয়েছিল।

সূর্যাস্তের পড়ে কেন মহিলাদের আটক
আইন অনুযায়ী সূর্যাস্তের পরে কোনও মহিলাকে আটক বা গ্রেফতার করা যায় না। কিন্তু করুনাময়ী থেকে টেট উত্তীর্ণদের সরাতে রাতের অন্ধকারে মহিলাদের আটক করেছিল পুলিশ। মধ্যরাতে মহিলা আন্দোলনকারীদের পুলিশের ভ্যানে করে নিয়ে যাওয়া হয়। এই থানায় ওই থানায় ঘুরিরে ভোর রাতে তাঁদের শিয়ালদহ স্টেশনে অথবা মাঝ রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। এমনই অভিযোগ করেছেন মহিলা আন্দোলনকারীরা।

রিপোর্ট তলব মহিলা কমিশনের
রাতের অন্ধকারে কেন মহিলাদের আটক করা হল সেই অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল সেদিন থেকেই। এবার হস্তক্ষেপ করল রাজ্য মহিলা কমিশন। রাজ্য মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সন লীনা গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সেই রাতে ঠিক কি ঘটনা ঘটেছিল তা জানতে চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন রাতের অন্ধকারে মহিলাদের আটক করা হল। ১৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বিধাননগর কমিশনারেটকে।

আন্দোলনে অনড়
এখনও চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরি প্রার্থীরা। তাঁরা চাকরি না নিয়ে আন্দোলন তুলবেন না বলে জানিয়েছেন। এই নিেয় তুমুল টানাপোড়েন শুরু হয়েছে। রাতের অন্ধকারে পুলিশের এই উচ্ছেদ অভিযানের তীব্র নিন্দা করেছে সব মহল। এমনকী রাজ্যের বুদ্ধিজীবীরাও এই নিয়ে সরব হয়েছেন । মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আইনী লড়াই শুরু করেছেন চাকরি প্রার্থীরা। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে হাইকোর্টে দুটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে।