ফের স্বল্প সঞ্চয়ে শীর্ষস্থান! যোগীর রাজ্যকে পিছনে ফেলে সবার আগে মমতার বাংলা
স্বল্প সঞ্চয়ে ফের হৃত গৌরব ফিরে পেয়েছে বাংলা। এনিয়ে পর পর তিন বছর বাংলা স্বল্প সঞ্চয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে সবার আগে। আর রাজ্যের মধ্যে গ্রাম বাংলা এগিয়ে রয়েছে এই স্বল্প সঞ্চয়ে। জানিয়েছে অর্থমন্ত্রক।
স্বল্প সঞ্চয়ে ফের হৃত গৌরব ফিরে পেয়েছে বাংলা। এনিয়ে পর পর তিন বছর বাংলা স্বল্প সঞ্চয়ে রাজ্যগুলির মধ্যে সবার আগে। আর রাজ্যের মধ্যে গ্রাম বাংলা এগিয়ে রয়েছে এই স্বল্প সঞ্চয়ে। জানিয়েছে অরুণ জেটলির অর্থমন্ত্রক।
একসময়ে বছরের পর বছর ধরে বাংলা স্বল্প সঞ্চয়ে ছিল সবার আগে। রাজ্যে বাম শাসনের শেষ লগ্নে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছিল স্বল্প সঞ্চয়ে সংগ্রহের পরিমাণ। ২০১০-১১ সালে যা ছিল ৯৮৭ কোটিতে। আর ২০১১-১২ সালে যা গিয়ে দাঁড়িয়েছিল ১৬৫ কোটিতে। সেই সময় বাংলা জুড়ে ছিল রোজভ্যালি, সারদা-সহ বেশ কিছু চিটফান্ডের রমরমা। একে একে চিটফান্ডগুলির ব্যবসা লাটে ওঠার পর গ্রাম বাংলার নজর সেই স্বল্প সঞ্চয়েই।
২০১৬-১৭
সালে
বাংলার
স্বল্প
সঞ্চয়ের
পরিমাণ
৬৩,৩৯২
কোটি
টাকা।
২০১৫-১৬
সালে
যা
ছিল
৫১,৬৭৯
কোটি
টাকা।
২০১৪-১৫
সালে
ছিল
৩২.২১৩
কোটি
টাকা।
পর
পর
তিন
বছরেই
স্বল্প
সঞ্চয়ে
বাংলা
সবার
আগে।
বাংলার
পরেই
রয়েছে
বিজেপি
শাসিত
উত্তর
প্রদেশ,
গুজরাট,
মহারাষ্ট্রের
মতো
রাজ্য।
ন্যাশনাল
সেভিংস
ইনস্টিটিউটের
তরফে
জানানো
হয়েছে,
যেখানে
টার্গেট
ছিল
৬
হাজার
কোটি
টাকা,
সেখানে
বাংলার
সংগ্রহের
পরিমাণ
৬৩,৩৯২
কোটি
টাকা।
অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার জানিয়েছেন, বাংলা এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে চিটফান্ডের বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচারের জন্যই। একইসঙ্গে স্বল্প সঞ্চয়ের গুরুত্বের কথাও প্রচার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে তিনি। পথ-নাটিকা, কবিগান, পোস্টারের মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়েছিল। পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড-সহ বিভিন্ন স্বল্প সঞ্চয়ে সুদের হার কমার পরেও সরকারি সেভিংস স্কিমে বিশ্বাস রাখার জন্য জনগণকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদ অভিরূপ সরকার।
এনএসআই-এর সার্ভেতে দেখা গিয়েছে, স্বল্প সঞ্চয়ে গ্রাম বাংলা অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে শহুরে বাংলার থেকে। আর এবিষয়ে উত্তরবঙ্গ এগিয়ে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের থেকে। জেলাগুলির মধ্যে সব থেকে ওপরে রয়েছে কোচবিহার। এরপরেই রয়েছে জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং। স্বল্প সঞ্চয়ে কলকাতার অবস্থান খুবই খারাপ জায়গায় রয়েছে।
বাংলায় প্রায় দুকোটি স্বল্প সঞ্চয়কারী রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে প্রায় ১৫ শতাংশ সমাজের পিছিয়ে পড়া শ্রেণি, যাঁরা গ্রামে বাস করেন।