মনমরা পয়লা বৈশাখ কাটালেন বাংলার মিষ্টি ব্যবসায়ীরা
মনমরা পয়লা বৈশাখ কাটালেন বাংলার মিষ্টি ব্যবসায়ীরা
এই প্রথম বাংলা নববর্ষে মনমরা বাঙালির। নেই কোন উৎসবের মেজাজও। লকডাউনের জেরে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা এখন শিকলবন্দি। তাই অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছরের পয়লা বৈশাখ এক অন্যরকম। নতুন মিষ্টি তো দুরের কথা, মিষ্টি দোকানগুলো খোলা থাকলেও বিক্রি নেই। ক্রেতার সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা। পয়লা বৈশাখের দিনে মিষ্টির দোকানের এই রকম হালে চরম সংকটে মিষ্টি ব্যাবসায়ীরা। আর তাই মুখভার মিষ্টি বিক্রেতাদের।
কলকাতার মিষ্টির ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, এবছর তাঁদের ৯৫ শতাংশ লোকসান হয়েছে মিষ্টি বিক্রির ক্ষেত্রে। আর সে কারণেই ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং বাসিন্দারা তাদের পয়লা বৈশাখ উদযাপন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা। কারণ উৎসবের এই সপ্তাহে দুধ, ছানা, মিষ্টি সহ অন্যান্য দুগ্ধ জাত দ্রব্য বিক্রির ক্ষেত্রে লোকসানের ভাগ ৯৫ শতাংশ। যেখানে এই দিনে অন্যান্য বছরে মিষ্টির দোকানে পা রাখার জায়গা থাকে না। অন্যান্য বছর মিষ্টি ব্যবসায়ীরা ২৪ ঘণ্টা কাজ করেও মিষ্টির যোগান দিতে পারেনা। কিন্তু এই বছর মিষ্টি তৈরির উপাদানগুলি তাঁরা জোগাড় করতে পারেনি লকডাউনের কারনে। হাতেগোনা যে কটা খরিদ্দার হয়েছে তাতেই শেষ হয়ে। এছাড়াও বিক্রি হবে কিনা সেই ভেবেই মিষ্টির পরিমাণ তৈরি হয়েছে কম।
পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমতির সেক্রেটারি জগন্নাথ ঘোষের দাবি, 'বড় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান তাঁদের পয়লা বৈশাখের উদযাপন বাতিল করে দেওয়ায় আমরা বড় কোন বিক্রয়ের প্রত্যাশা করছি না। গহনা বিক্রেতারা, কাগজ ও পোশাকের ব্যবসায়ী এবং অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের লোকেরা প্রতি পয়লা বৈশাখকে কোটি কোটি টাকার অর্ডার দেয় কিন্তু এই বছর তাদের কেউ তা করেনি। এই বছর খুব জোর পাঁচ শতাংশ মিষ্টি বিক্রি হয়েছে।