করোনার গ্রাসে রাজ্যের পর্যটন শিল্প
করোনার গ্রাসে রাজ্যের পর্যটন শিল্প
করোনার গ্রাসে রাজ্যের পর্যটন শিল্প । কোথাও বন্ধ রাখা হয়েছে ভ্রমণ করতে গিয়ে ঘুরতে যাওয়ার জায়গাগুলি, কোথাও মন্দিরে প্রবেশ আবার কোথাও হোটেল লজ খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ।
এর ফলে এই সময়ে স্কুল কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও প্রশাসনের এই সব নির্দেশিকার কারণে এখন কোথাও ঘুরতে যেতে পারবেন না মানুষ । এখন করোনা আতঙ্কের জন্য সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা হিসেবে টানা কয়েকদিন হোটেল লজ বন্ধ রাখা হলে একদিকে যেমন মার খাবে পর্যটন শিল্প, তেমনই বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখে পড়বেন হোটেল লজ মালিকরা বলে জানিয়েছেন দীঘা শংকরপুর হোটেল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুশান্ত পাত্র । এক কথা বকখালি, মুর্শিদাবাদ, বিষ্ণুপুর, শান্তিনিকেতন এলাকার হোটেল মালিক থেকে শুরু করে যারা পর্যটন শিল্পর ওপর নির্ভরশীল হয়ে সংসার চালান তারাও ।
এখন করোনার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ । তার ফলে দীঘা শংকরপুর তাজপুর মন্দারমনি এলাকার হোটেল মালিকরা ভেবেছিলেন যে এখন পর্যটক ঠাসা থাকবে এই সব এলাকা। টানা কয়েকদিন ছুটি পেলেই বাঙালী ভিড় জমায় দীঘা শংকরপুর তাজপুর মন্দারমনি তে । কিন্তু এখন প্রায় পর্যটকশূন্য দীঘা । ট্রেনে বাসে লোকজন আসছেন না বললেই চলে । যারা আছেন তারাও চলে যাচ্ছেন । এই সঙ্গে যে সব হোটেল রুম বুক করা হয়েছিল আগে থেকে তার বেশির ভাগই বাতিল করে দিচ্ছেন লোকজন ।
ইতিমধ্যে
বন্ধ
রাখা
হয়েছে
দীঘার
সায়েন্স
সেন্টার,
অমরাবতী
পার্ক
।
পূর্ব
মেদিনীপুরের
জেলা
শাসক
পার্থ
ঘোষ
হোটেলগুলিতে
জানিয়েছেন
যে
এখন
কোথাও
কোনো
হোটেলে
কনফারেন্সে
রুম
ও
সুইমিং
পুল
ব্যবহার
করা
যাবে
না
।
এই
দিকে
বৃহস্পতিবার
জেলা
শাসক
পার্থ
ঘোষ
একটি
নির্দেশিকাজারি
করে
জানিয়েছেন
যে
আগামী
31
মার্চ
তারিখ
পর্যন্ত
দিঘা
সহ
পূর্ব
মেদিনীপুরের
কোনও
সমুদ্রে
স্নান
করতে
নামা
যাবে
না
।
এই
সঙ্গে
সমুদ্র
সৈকতে
জমায়েত
বন্ধ
রাখা
হয়েছে
।
দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বকখালি, হেনরিজ আইল্যান্ড, মৌসুনি দ্বীপ এলাকার সব হোটেল ও লজ 31 মার্চ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে । এই সময় পর্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় ঢোকার ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী মন্টুরাম পাখিরা ।
বন্ধ মুর্শিদাবাদ জেলার হাজারদুয়ারি সহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক সৌধ ও সংগ্রহশালা । তার জেরে খাঁ খাঁ করছে এই ঐতিহাসিক শহর যা নিত্যদিন দেশ বিদেশের কয়েক হাজার পর্যটকদের ভিড়ে ঠাসা থাকে । বন্ধ শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতীর আশ্রম প্রাঙ্গণে ঢোকা। বন্ধ রাখা হয়েছে এখানে রবীন্দ্র মিউজিয়াম উত্তরায়ণ কমপ্লেক্স ও সোনাঝুরি হাট ।
এই দিকে আগেই বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ ও কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন জানিয়েছে যে এখন সেখানে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে ও বন্ধ রাখা হয়েছে প্রসাদ বিতরণ ।
এই দিন থেকে আসানসোলের মাইথনে কল্যাণেশ্বরী মন্দিরে পুজো দিতে যাওয়া যাবে না 31 মার্চ তারিখ পর্যন্ত বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে । একই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তমলুকের বর্গভীমা মন্দিরে। এই মন্দির সতীপীঠ হিসেবে পরিচিত । তারাপীঠ মন্দিরে এখন ভান্ডারা বিতরণ করা হবে না বলেও জানানো হয়েছে । অন্য দিকে করোনার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে বিষ্ণুপুরের পোড়ামাটির হাট । এই সঙ্গে বন্ধ রাখা হয়েছে বিষ্ণুপুরের ঐতিহাসিক মন্দিরে প্রবেশ করাও ।
এই সব জায়গা সব রাজ্যের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত । কিন্তু এখন এখানে নেই চেনা ছবি । সব কিছু বন্ধ থাকায় আসছেন না পর্যটকরা । তার ফলে শুনশান এই সব পর্যটন কেন্দ্রগুলি বিপুল পরিমাণ ক্ষতির মুখোমুখি ।