দিদি রোজ ১০ কিলোমিটার হাঁটছেন তো! খবর নিলেন মোদী, উসকে দিল অনেক প্রশ্ন
রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে যতই বৈরিতার সম্পর্ক থাকুক, দিল্লিতে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ আবহেই হল মোদী-মমতার বৈঠক।
এই মুহূর্তে দেশে মোদী বিরোধী প্রধান মুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর এক ডাকে ছুটে গেলেন দিল্লি। রাজ্যে বিজেপির সঙ্গে যতই বৈরিতার সম্পর্ক থাকুক, দিল্লিতে বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ আবহেই হল মোদী-মমতার বৈঠক। সেই বৈঠকের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, 'দিদি, রোজ ১০ কিলোমিটার হাঁটছেন তো?'
[আরও পড়ুন:গোহারা তৃণমূল! জোট হলে বদলে যাবে রাজ্যের রাজনৈতিক চিত্র, ফের দেখাল শিলিগুড়ি]
সঙ্গে সঙ্গেই মমতার চটজলদি জবাব, 'আরও অনেক বেশি। রোজ ২৫ কিলোমিটার করে হাঁটছি।' শুনে বেশ অবাক মোদী বলেন, বলেন কী! এই বন্ধুত্বপূর্ণ আবহ খুবই ভালো। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে এই সখ্যতা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে আরও মজবুত করবে। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা বামেদের হাতে নতুন করে অস্ত্র তুলে দিল।
বামেরা প্রায়ই বলেন, মোদী-দিদির গোপন আঁতাত রয়েছে। তা মাঝে-মধ্যেই প্রকাশ পেয়ে যায়। এবার সেই আক্রমণ আরও বাড়বে।
[আরও পড়ুন: ভোটের মুখে বিজেপি প্রার্থীর দলবদল, তৃণমূলের প্রত্যাঘাতে বিপাকে গেরুয়া শিবির]
বামেরা বলেন, মমতার বিজেপি বিরোধিতা নামকাওয়াস্তে। বাংলায় বিজেপিকে জায়গা করে দিচ্ছে তৃণমূলই। তাই বামফ্রন্টের একাংশ মনে করে, বাংলা থেকে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত থামাতে, সবার আগে তৃণমূলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে। কারণ বাংলায় বিজেপিকে আনার এবং বাড়তে দেওয়ার মূল কারিগর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
দিল্লিতে মহাত্মা গান্ধীর জন্মসার্ধশতবর্ষ পালনের অনুষ্ঠান নিয়ে সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা প্রায় কেউই যাননি। গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সাফাই দিয়েছেন, যেহেতু এই বৈঠকের সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর নাম জড়িয়ে রয়েছে, সেহেতু আমি এসেছি। মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতবর্ষ নিয়ে যে আমরা অনেক আগে থেকে ভাবছি, কর্মসূচি নিয়েছি, তা জানিয়েছে।
এদিকে গান্ধী-সার্ধশতবার্ষিকী উদযাপন নিয়ে রাহুল গান্ধী সমালোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদীর। আবার সিপিএম সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, গান্ধীর ঘাতকেরাই গান্ধী পুজোয় মেতেছেন। এই অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোদীর ডাকে সাড়া দেওয়া সমালোচিত হবেই। তার উপর বিজেপি-বিরোধী প্রধান মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলেও, তাঁর সঙ্গে মোদীর কোনও রাজনৈতিক সেটিং রয়েছে কি না, সে প্রশ্ন আবার তুলে দেবে এই বৈঠকে যোগদান। সব মিলিয়ে মমতা-মোদীর আঁতাত নিয়ে ফের সরব হতে চলেছে সিপিএম।
[আরও পড়ুন: সরকারি কর্মীদের ডিএ নিয়ে কালবিলম্ব নয়, রাজ্যের আর্জি খারিজ করে সমাধান-বার্তা হাইকোর্টের]