নন্দীগ্রাম নিয়ে আত্মবিশ্বাসী শুভেন্দু, মমতা প্রার্থী হতেই পদ্ম ফোটানোর চ্যালেঞ্জ
কালীঘাট থেকে আজ দুপুরে পূর্ণাঙ্গ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। কথা রেখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তিনি। ভবানীপুর ছেড়ে দিয়েছেন বিশ্বস্ত শোভনদেবের হাতে। প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার সময়েই জানিয়ে দিলেন মঙ্গলবার নন্দীগ্রাম যাবেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে তারপর বুধবার মনোনয়ন জমা দেবেন নেত্রী। মমতার কথা থেকেই স্পষ্ট, তিনি নন্দীগ্রামকে জয় করার চ্যালেঞ্জ নিয়ে নিয়েছেন।
'নন্দীগ্রামে পদ্মফুল ফুটবেই'
মমতা যখন কালীঘাট থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করছেন, তখন হুগলি নদীর ওপার থেকে ফের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন শুভেন্দু। হুঙ্কার দিয়ে রাখলেন নন্দীগ্রাম থেকে খালি হাতে কলকাতা ফেরত পাঠানোর। দল তাঁকে প্রার্থী করুক, বা অন্য কাউকে করুক; নন্দীগ্রামে পদ্মফুল ফুটবেই। হুঙ্কার দিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর শক্তঘাঁটি বলেই পরিচিত নন্দীগ্রাম
রাজ্য রাজনীতিতে শুভেন্দুর শক্তঘাঁটি বলেই পরিচিত নন্দীগ্রাম। অধিকারীদের দুর্ভেদ্য দুর্গ। বিজেপি এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করলেও, কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে মমতার বিপরীতে শুভেন্দুকেই দাঁড় করাতে পারে গেরুয়া শিবির। সূত্রের খবর, নয়াদিল্লিতে জেপি নাড্ডার বাড়িতে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে মমতার উল্টোদিকে লড়তে চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
'নন্দীগ্রাম আমার পক্ষে শুভ'
উল্লেখ্য, এর আগে মমতা বলেছিলেন , 'নন্দীগ্রাম আমার পক্ষে শুভ৷' যখন তৃণমূল কংগ্রেসের আকাশে কালো মেঘের আস্তরণ চোখে পড়ছিল ঠিক তখনই সেই 'মেজোবোন' নন্দীগ্রামকে লড়াইয়ের ক্ষেত্র হিসেবে বেছে নিলেন তৃণমূল নেত্রী৷ আরও বলেছিলেন, ভবানীপুরে ভালো প্রার্থী দেবেন৷ সেই কথাও রাখলেন৷ দীর্ঘদিনের তৃণমূল কংগ্রেসের সৈনিক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে ভবানীপুর থেকে দাঁড় করালেন৷ একইসঙ্গে রাসবিহারীর জন্য বেছে নিলেন দেবাশিস কুমারকে৷ ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে নিজের মনোনয়ন জমা দেবেন বলেও জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী৷ আর কালীঘাট থেকে স্লোগান তুললেন, 'খেলেঙ্গে, লড়েঙ্গে-জিতেঙ্গে'।
৮০ বছরের উর্ধ্বে কাউকে প্রার্থী করা হল না এবার
প্রথম থেকেই জল্পনা তৈরি হচ্ছিল এবারের তৃণমূলের প্রার্থী পদ নিয়ে৷ প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে ৮০ বছরের উর্ধ্বে কাউকে প্রার্থী করা হল না এবার৷ তরুণদের পাশাপাশি মহিলা প্রার্থীর উপরও জোর দিলেন তৃণমূল নেত্রী৷ একাধিক আসনে পরিবর্তন ঘটালেন৷ একই আসন থেকে বারবার যাতে কেউ না দাঁড়ান সেদিকে নজর দেওয়া হল৷ বাঁকুড়ার মতো কেন্দ্রে প্রার্থী করা হল অভিনেত্রী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়কে৷ আবার রাজারহাট গোপালপুরে অদিতি মুন্সিকে প্রার্থী করে ঘরের মেয়ের তাস খেললেন মমতা৷