বিদেশে পাড়ি দেবে জয়নগরের মোয়া
কনকচূড় খই ও নলেন গুড় দিয়ে তৈরি জয়নগরের মোয়া ভুবনবিখ্যাত। কিন্তু, বিপণনের অভাবে এখন এই শিল্প সঙ্কটে। বিষয়টি রাজ্য বিধানসভায় উত্থাপন করেছিলেন এসইউসিআই (সি) বিধায়ক তরুণ নস্কর। এই শিল্পকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার কী ভাবছে, তা জানতে চেয়েছিলেন তরুণবাবু। এর পরই নড়েচড়ে বসে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্যানপালন দফতর জানায়, তারা বিজ্ঞানসম্মতভাবে জয়নগরের মোয়ার সংরক্ষণ ও বিপণন করবে। সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী সুব্রত সাহা বলেছেন, বিদেশে শুধু পাঠালেই হল না। সেখানে মোয়া যাতে ১৫-২০ দিন প্যাকেটবন্দি থাকলেও নষ্ট না হয়, সেটা দেখতে হবে। মোয়ার স্বাদ-গন্ধ অক্ষুণ্ণ রাখতে হবে। আর তাই আইআইপি এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে।
প্রথম পর্যায়ে এই মোয়া পাকিস্তান, বাংলাদেশ, নেপাল, শ্রীলঙ্কায় রপ্তানি করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তা পাঠানো হবে ইউরোপ-আমেরিকায়। জয়নগর-বহড়ুর আশপাশে ক্রমশ কমছে খেজুর গাছের সংখ্যা। তাই শীতকালে যথেষ্ট পরিমাণ নলেন গুড় পাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কনকচূড় চালের চাষ লাভজনক না হওয়ায় কৃষকরা মুখ ফিরিয়েছে। ফলে, খইয়ের সরবরাহে টান ধরেছে। রাজ্য সরকার এই বিষয়গুলিও খতিয়ে দেখছে বলে জানান সুব্রতবাবু।